যশোরের অভয়নগরে দুটি মামলায় ২৮২ জনের নামে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা চার’শ ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে অভয়নগর থানায় মামলা দুটি করা হয়।
অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই মামলায় ২৮২ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের আবুল হোসেন গাজীর ছেলে উজ্জল। গাজী ও উপজেলার বুইকারা গ্রামের লুৎফার রহমানের ছেলে জোবায়ের হোসেন। এতে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ আব্দুল ওহাব, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক বাবুল, সাধারণ সম্পাদক সরদার অলিয়ার রহমান ও সাবেক পৌর মেয়র ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত কুমার দাস শান্তকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদিরা হলেন, উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের আবুল হোসেন গাজীর ছেলে উজ্জল গাজী ও উপজেলার বুইকারা গ্রামের লুৎফার রহমানের ছেলে জোবায়ের হোসেন।
ছয় নম্বর মামলার নথী থেকে জানা যায়, গত ২৯ শে নভেম্বর শ্রীধরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পাকা সড়কের উপরে একদল দুস্কৃতকারী সাধারণ মানুষের পথরোধ করে। বিষয়টির প্রতিবাদ করলে সংঘবদ্ধভাবে বোমা ফাঁটিয়ে বাদীর উপর অতর্কিত হামলা চালায় তারা। এ ঘটনায় ১শ ১৮ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ১শ ৪৫ থেকে ১শ ৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। সাত নম্বর মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নওয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় ১৬৪ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ২০০ থেকে ২৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। সাত নম্বর মামলায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত হলেন, উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের মৃত নওশের জমাদ্দারের ছেলে শাহাদাৎ জমাদ্দার ও পাথালিয়া গ্রামের ওলিয়ার শেখের ছেলে রিপন শেখ।
এ বিষয়ে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমাদুল করিম বলেন, উজ্জ্বল ও যোবায়ের নামের দুজন ভুক্তভোগী বাদী হয়ে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছেন। দুটি মামলায় মোট এজাহার নামীয় আসামী ২৮২ জন ও অজ্ঞাতনামা আসামী ৪০০ জন। দুজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটক করতে আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ