সাতক্ষীরা-৩ আসনের সাবেক এমপি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, তৎকালিন সহকারী পুলিশ সুপার ও সাবেক এসপি কাজী মনিরুজ্জামানসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরার দেবহাটায় শিবিরনেতা মারুফ হোসেন (২৪) ও আবুল কালামকে (২২) ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর ক্রসফায়ারের নাটক সাজানোর অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি ৭ নম্বর আদালতে নিহত মারুফ হোসেনের ভাই মোঃ মোকফুর হাসান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মহিদুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্যান্য আসামি হলেন, সহকারী পুলিশ সুপার (কালীগঞ্জ সার্কেল) মনিরুজ্জামান, দেবহাটা থানার থৎকালিন ওসি তারক বিশ্বাস, এসআই জিয়াউল হক, দেবহাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স.ম গোলাম মোস্তফা, কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আছাদুল হক, দেবহাটা উপজেলা আ’লীগের সেক্রেটারী মোঃ মনিরুজ্জামান মনি, আ’লীগ নেতা মোঃ মোশারফ হোসেন, রাশিদুল ইসলাম, মোঃ মান্নান হোসেন, সুভাস ঘোষ, মোঃ আরিফ বিল্লাহ, মাহবুব আলম খোকন, শহীদুল্লাহ গাজী, মোঃ নজরুল ইসলাম, ফারুক হোসেন রতন, মিজানুর রহমান, নির্মল কুমার মন্ডল, আকবর আলী, মোঃ আছরপ গাজী, আকিনুর গাজী, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর, এস.আই শেখ আলী আকবর, এস.আই তপন কুমার সিংহ, এস.আই মোঃ ইউনুস আলী গাজী, এস.আই তানভীর হাসান, পি. এ.এস.আই, মদন মোহন অধিকারী, এ.এস.আই, দেবাশীষ অধিকারী, এ.এস.আই শফিকুল ইসলাম, রোকন উদ্দীন এবং মেজর আহম্মেদ হোসেন সোহেল সহ ৬২ জন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি দেবহাটায় গ্রেপ্তারের পর ছাত্র শিবিরের দুই নেতা মারুফ হোসেন (২৪) ও আবুল কালামকে(২২) উল্লেখিত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে ঘটনাটি ক্রমফায়ার বলে প্রচার দেয় আসামীরা।
সে সময় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন থাকায় নিহতদের পরিবারের কেউ মামলা করার সাহস পায়নি। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় ন্যায়বিচার পাওয়ার দাবিতে মামলা রুজু করেছেন বলে বাদী নিহত মারুফ হোসেনের ভাই মোঃ মোকফুর হাসান জানান।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মোঃ হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ