বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে সাবেক স্বামীর মারধরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চায়না বেগম (৫০) নামের এক গৃহবধু। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় মোরেলগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে চায়না বেগমকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিঠ করে তার সাবেক স্বামী হেমায়েত শেখ (৫৩)। পরবর্তী ওই রাতেই স্বজনরা উদ্ধার করে চায়না বেগমকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত চায়না বেগম মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ গ্রামের মৃত রশীদ আকনের মেয়ে। প্রায় ৩৫ বছর আগে একই গ্রামের মৃত মকবুল শেখের ছেলে দিনমজুর হেমায়েত শেখের সাথে চায়না বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। বছর দুয়েক আগে পারিবারিক কলহের জেরে হেমায়েতকে ডিভোর্স দেয় চায়না বেগম।
আহত চায়না বেগমের বড় ছেলে মোঃ চয়ন শেখ বলেন, বিভিন্ন কারণে বাবা আমার মাকে মারধর করত। এমনকি বাবার জমি আমাদের ভাই-বোনদের না দিয়ে তার ভাইপোদের দিয়েছেন। সব মিলিয়ে অনেকদিন ধরে সংসারে একটা ঝামেলা লেগেছিল। এসব সহ্য করতে না পেরে বছর দুয়েক আগে আব্বাকে ডিভোর্স দেয় মা। এরপর থেকে বাবা আরও বেপরোয়া হয়ে যায়। কয়েকবার সে মাকে মেরেছে। কিন্তু মান সম্মানের ভয়ে আমরা কিছু বলিনি। এবার মা সুস্থ্য হলে আমরা আইনের আশ্রয় নিবেন।
প্রতিবেশি সাজেদা বেগম বলেন, সন্ধ্যায় মাগরীবের নামাজের জন্য পুকুরে ওজু করছিলাম। দূর থেকে দেখি চায়না বাড়ি আসছে। হঠাৎ রাস্তার পাশে বসে থাকা ওর সাবেক স্বামী বড় লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে। সবাই এগিয়ে আসতে আসতে চায়না রাস্তায় পড়ে যায়। পরে আমরা উদ্ধার করে ওকে হাসপাতালে ভর্তি করি।
মারধরের স্বীকার চায়না বেগম বলেন, স্বামীর মার খেতে খেতে আমি অতিস্ট। জীবন বাঁচাতে তাকে ডিভোর্স দেই। এর পরেও সে আমাকে কয়েকবার মেরেছে। গতকাল সবাই এগিয়ে না আসলে, আর বাঁচতে পারতাম না। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।