বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এঁর ৮৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি তিনি বগুড়া জেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তাঁর ডাকনাম ছিল কমল। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত করে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেন।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি তাঁর কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। বিকাল ৩টায় খুলনা প্রেসক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নিতাই রায় চৌধুরী, প্রধান আলোচক থাকবেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক স ম আব্দুর রহমান। এছাড়াও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপির সকল দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
সংক্ষিপ্ত জীবনী: আজ ১৯ জানুয়ারি। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। তার পিতা মনসুর রহমান পেশায় ছিলেন একজন রসায়নবিদ। বগুড়া ও কলকাতায় শৈশব-কৈশোর অতিবাহিত করার পর জিয়াউর রহমান পিতার কর্মস্থল করাচিতে চলে যান। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৫ সালে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সমাদৃত। একজন সৈনিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও জিয়াউর রহমানের জীবনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দেশের সঙ্কটে তিনি বারবার ত্রাণকর্তা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন এবং দেশকে সে সঙ্কট থেকে মুক্ত করেছেন। তিনি অস্ত্র হাতে স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধ শেষে আবার পেশাদার সৈনিক জীবনে ফিরে গেছেন। জিয়াউর রহমান সময়ের প্রয়োজনেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। তার গড়া সেই রাজনৈতিক দল তার সহধর্মিণী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃত। অসাধারণ দেশপ্রেমিক, অসম সাহসিকতা, সততা-নিষ্ঠা ও সহজ-সরল ব্যক্তিত্বের প্রতীক জিয়াউর রহমানের অবদান অসামান্য। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে অসীম সাহসিকতার সাথে তিনি যুদ্ধ করেন। আবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের একটি সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। বিশ্ব-মানচিত্রে তিনি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশীদের ব্যাপকভাবে পরিচিত করিয়েছেন স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যে। জাতির মর্যাদাকেও বিশ্বব্যাপী সমুন্নত করেছেন তার শাসনামলে। জিয়াউর রহমানের সৈনিক ও রাজনৈতিক জীবনের সততা, নিষ্ঠা ও নিরলস পরিশ্রম প্রতিটি মানুষ শ্রদ্ধাভরে এখনো স্মরণ করে। একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক হিসেবেও তার পরিচিতি সর্বজনবিদিত।
১৯৮১ সালের ৩০মে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে শাহাদতবরণ করেন দেশপ্রেমিক এই রাষ্ট্রনায়ক। – খবর বিজ্ঞপ্তির