খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকীতে খুলনায় কর্মসূচি শুরু

গেজেট ডেস্ক

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও  সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪৩তম শাহাদাৎবার্ষিকীতে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, শহীদ জিয়ার প্রবর্তিত কালজয়ী দর্শন ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ ও তাঁর অবিনাশী আদর্শে এ দেশের মানুষকে উদ্দীপ্ত করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন সফল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এঁর ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মহানগর বিএনপি ও জেলা বিএনপির তিনদিনের কর্মসুচির প্রথমদিনে দোয়া মাহফিল পুর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি আর বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। তিনি জাতির সকল সংকটময় মুহূর্তে বারবার দাঁড়িয়েছিলেন নির্ভয়ে, মাথা উঁচু করে। বিপর্যস্ত জাতিকে রক্ষা করেছেন সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর অস্থিতিশীল ও অনিশ্চিত এক পরিস্থিতি থেকে দেশ মুক্তি পায় ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে। আর এ বিপ্লবের প্রাণপুরুষ ছিলেন জিয়াউর রহমান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, গণতন্ত্র হত্যা ও অরাজকতার অমানিশার দুর্যোগের মুখে দেশের সিপাহি-জনতার মিলিত শক্তির মিছিলে জিয়াউর রহমান জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হন। ফিরিয়ে দেন বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্র ও নাগরিক স্বাধীনতা। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করেন। উৎপাদনের রাজনীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেন। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে খাদ্য রপ্তানিকারক দেশে পরিণত করেন। আধুনিক ও স্বনির্ভর দেশ গঠনের পদক্ষেপ নেন তিনি। মহান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধের ময়দানে বীরোচিত ভূমিকা এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে তাঁর অনবদ্য অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ কওে বকুল আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রারম্ভে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সিদ্ধান্তহীনতায় দেশের মানুষ যখন দিশেহারা, ঠিক সেই মুহূর্তে ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা সারা জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উজ্জীবিত করেছিলেন।

বিএনপি খুলনা মহানগরীর আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী জুলু , স. ম আ রহমান, বেগম রেহেনা ঈসা, এস এ রহমান বাবুল, অ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, মোল্লা খায়রূল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, শেখ তৈয়বুর রহমান,  চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন,  একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম খান, মাসুদ পারভেজ বাবু, শামসুল আলম পিন্টু, শেখ সাদী,  হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, এনামুল হক স্বজল, কে এম হুমায়ূন কবির,  মোঃ মুরশিদ কামাল, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, সাহিনুল ইসলাম পাখি, রুবায়েত হোসেন বাবু, খায়রুল ইসলাম খান জনি, অ্যাড. মাসুম রশিদ, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, নাজির উদ্দিন নান্নু, শেখ জামাল উদ্দিন, সুলতান মাহমুদ, নাসির খান, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, মুর্শিদুর রহমান লিটন, নাজমুর সাকির পিন্টু, তারিকুল ইসলাম, মো. জাহিদুল হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, রফিকুল ইসলাম, আলী আক্কাস, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান,  শামসুল বারিক  পান্না, যুবদলের কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম  এবাদুল হক রুবায়েদ, কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম , আব্দুল্লাহেল কাফি সখা, আব্দুল আজিজ সুমন, শেখ জাবির আলী, স্বেচ্ছাসেবক  দলের শফিকুল ইসলাম শাহিন, আতাউর রহমান রনু, কৃষক দলের আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজীব, তাঁতী দলের আবু সাঈদ শেখ, মাহমুদ আলম লোটাস, জাসাসের নুর ইসলাম বাচ্চু, শহিদুল ইসলাম, এম এ জলিল, আজাদ আমিন, মিডিয়া সেলের রকিবুল ইসলাম মতি, ছাত্রদলের আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, মোঃ তাজিম বিশ্বাস, সৈয়দ ইমরান, যুগ্ম আহবায়ক, ইবাদুল ইসলাম,সাজ্জাদ হোসেন জিতু, মহানগর সদস্য মাজারুল ইসলাম রাসেল, সোনাডাঙ্গা থানার আহবায়ক আরিফুর রহমান টুকু, দৌলতপুর থানা ছাত্রদল আহবায়ক মোঃ আল আমিন লিটন, সিটি কলেজ ছাত্রদল আহবায়ক রাজু আহমেদ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার আহবায়ক ইজবুর রহমান ইমুল, কমার্স কলেজ আহবায়ক নাজিম, মহিলা দলের নিঘাত সীমা, সালমা বেগম, শাহানাজ সরোয়ার, কাওসারী জাহান মঞ্জু প্রমূখ। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এঁর ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ মে (বৃহস্পতিবার) মহানগর বিএনপি কার্যালয়সহ সকল দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাচ ধারন করে নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্রদল ও শ্রমিকদলের উদ্যোগে রক্তদান কর্মসূচি, ১১টায় সদর থানা বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, পরপরই মহানগরী সকল থানা, ওয়ার্ড, ইউনিয়নে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ করনা হয়।

১০ নং ওয়ার্ড বিএনপি: বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ১০ ওয়ার্ড বিএনপির পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ করা হয়েছে।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির আহবায়ক এস এম শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, খালিশপুর থানা বিএনপির আহবায়ক শেখ জাহিদুল ইসলাম, সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান বিশ্বাস। এতে সভাপতিত্ব করেন ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ হাসানউল্লাহ বুলবুল।

আবুসালে শিমুলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম, সার্জেন্ট বাবুল, ডিয়ার, শামসুল হক, শাকিল আহমেদ, জাহিদ বাবু, শেখ জালাল উদ্দিন রাজু, এম হাসিব পলাশ, যুবদল নেতা মিরাজ হোসেন, মোহাম্মদ নুরুল আজম শেখ নাজমুল হোসেন, রাবু ব্যাপারী, শান্ত হাওলাদার, নাজমুল হোসেন, মোহাম্মদ হৃদয় হোসেন, ইমন হোসেন, জিহাদ ও ফাহিম প্রমুখ।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!