সাতক্ষীরার কাশেমপুরে জামায়াত কর্মী শহিদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার সাবেক ওসি এনামুল হক,সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নানসহ ৩২ জনকে আসামী করে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভিকটিমের ভাই সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের মৃত নুরালী সানার ছেলে ইমাদুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার (২৮ আগষ্ট) সাতক্ষীরার জৈষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম নয়ন বড়ালের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। শুনানী শেষে বিচারক মামলাটিকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ভিকটিম জামায়াত কর্মী শহিদুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের মৃত নুরালী সানার ছেলে।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, সদও থানার সাবেক এসআই স্বপন কুমার দাশ, কনেস্টবল রথিম চন্দ্র শর্মা, কনেস্টবল মাহমুদ, সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আব্দুল হান্নান, হাসানুজ্জামান, শেখ অনোয়ার হোসেন, রবিউল ইসলাম ও তহিদুল ইসলাম, শহরের ইটাগাছার শাঙ্গির হোসেন শাহিন, সদরের শিকড়ী গ্রামের আক্তারুল ইসলাম, শিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান গদাঘাটা গ্রামের আবুল কালাম আজাদ, শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের মোঃ শওকত হোসেন, আব্দুল হাই মেম্বর, উত্তর দেবনগর গ্রামের হুমায়ন কবির বাবলু, মোতলেব সরদার, সাতানী কুশখালী গ্রামের মিজানুর রহমান বিশ্বাস, ভাদড়া গ্রামের জহরুল আলম, বৈকারী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অসলে, ভাড়–খালী গ্রামের অব্দুল কাদের, তালবাড়িয়া গ্রামের মিজানুর রহমান, বাঁশঘাটা গ্রামের মইনুল ইসলাম, মৃগিডাঙ্গা গ্রামের অব্দুর রশিদ ও নুরল আমিন ওরফে ফনু, আগরদাড়ি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইন্দিরা গ্রামের আব্দুল মান্নান,সাতক্ষীরা শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার জি,এম আব্দুল গফুর, পলাশপোল এলাকার আব্দুস সোবহান খোকন, যশোরের শার্শা থানার চালতিবাড়িয়া গ্রামের টিংকু মোল্যা, কায়বা বাদামতলা গ্রামের মনি গাজী সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বেলা সোয়া ২টার দিকে আসামীরা কালো মাইক্রোবাসে এসে শহিদুল ইসলামকে শহর উপকণ্ঠের কাশেমপুর গ্রাম থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে যশোর শহর উপকণ্ঠের পিকনিক কর্ণারে নিয়ে রাত ৮টার দিকে গুলি করে তাকে হত্যা করে। পরবর্তীতে পিকনিক কর্নারের সামনে তার মরদেহ রেখে আসামীরা ক্রসফায়ারের নাটক সাঁজায়।
সে সময় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন থাকায় মামলা করার সাহস পায়নি। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় ন্যায় বিচার পাওয়ার দাবিতে মামলা রুজু করেছেন বলে বাদী ইমাদুল ইসলাম দাবি করেন।
আদালতের বিচারক নয়ন বড়াল মামলাটি আমলে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে এফ আই আর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলার একজন আইনজীবী এড আকবার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম