আর মাত্র একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আযাহ, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদুল আযাহ উপলক্ষে মোংলার ঐতিহ্যবাহী চটেরহাট বাজারে উঠেছে কোরবানীর পশু। তবে অন্য অন্য বছরের থেকে এবার পশুর সংখ্যা বেশি হলেও বিকিকিনি একেবারেই কম বলছেন বিক্রেতারা।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকালে সরজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতারা বাজারে কোরবানীর পশু কিনতে আসলেও দাম বেশি হওয়ায় হতাশ হচ্ছেন। অনেকের আবার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে পশুর দাম, যার কারণে দামাদামি এবং বাজার ঘুরে ফিরেও যেতে দেখা গেছে।
মোংলা পৌর শহর ও ইউনিয়নের কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা হলে তারা জানান, গত বছর যে গরু কিনেছি ৬০/৬৫ হাজার টাকায় এবছর সেই গরুর দাম চাচ্ছে ৯০/৯৫ হাজার টাকা ৮০/৮৫ হাজার টাকা দাম বলেছি কিন্তু দেইনি তাই হতাশ হয়ে এখান থেকে ফিরে যাচ্ছি। আমাদের মতো মধ্য বিত্তের জন্য এ বছর কোরবনী দেয়াটা অনেক কস্টের ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। হাতে আরো একদিন সময় আছে দেখি সাধ্যের ভিতরে পাই কিনা।
বাজারে কোরবানীর পশু নিয়ে আশা বিক্রেতাদের সাথে কথা হলে তারা জানান গাবাদি পশুর খাবারের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় অন্য বারের তুলনায় এ বছর দাম কিছুটা বেশি। ক্রেতারা বাজারে আসলেও দাম শুনে চলে যাচ্ছেন ন্যায্য দাম না বলাতে আমরাও গরু বিক্রি করতে পারছি না, যার কারণে আমরাও অনেকটা মানসিক চিন্তায় রয়েছি। তবে এখন বেচা বিক্রি কম থাকলেও আশা করছি আগামী দিন জমে উঠবে এই পশুর হাট। তবে ধনীরা বড় গরুর দিকে ঝুকলেও মধ্যবিত্তরা ঝুকছেন মাঝারি গরুর দিকে। এবং মাঝারি ও ছোট দেশী গরুর চাহীদা বেশি রয়েছে বলে জানান তারা।
হাটের ইজারাদার মোস্তফা কামাল ইজারাদার বলেন, হাটের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ , জাল টাকা শনাক্ত ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের তদারকির পাশাপাশি অন্য হাটের তুলনায় এখানে খাজনাও কম নেওয়া হচ্ছে। তবে পশুর দাম বেশি হওয়ায় বেচাবিক্রি কম। আশা করছি আগামিকাল থেকে বেচা বিক্রি ভালো হবে।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ সামসুদ্দীন বলেন, হাটের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি