খুলনা, বাংলাদেশ | ১ পৌষ, ১৪৩১ | ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ফরিদপুরে বাসচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা

সাত বছর কারাভোগের পরে বাগেরহাটে আসলেন বিএনপি নেতা মনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

দীর্ঘ ৭ বছর পরে বছর পরে নিজ জন্মস্থানে ফিরেছেন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দীর্ঘ সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ভোগকারী বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম খান। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি বাগেরহাটে পৌছান। শহরের খানজাহান আলী (রহঃ) এর মাজার মোড় এলাকায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান। পরে নেতাকর্মীদের নিয়ে খানজাহান আলী (রহঃ) এর মাজার জিয়ারত করেন।

এসময় বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ, বিএনপি নেতা হাদিউজ্জামান হীরু, সরদার জাহিদুল ইসলাম, হাজরা আছাদুল ইসলাম পান্না, শাহিদা আক্তার, যুবদল নেতা সুজাউদ্দিন মোল্লা সুজন, শহিদুল ইসলাম খোকন, মুন্নাসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তারপর নেতাকর্মীদের নিয়ে নিজ বাড়ি কুচয়ার গোপালপুরে যান মনিরুল ইসলাম খান।

পরে বিকেলে কচুয়া উপজেলা বিএনপি আয়োজিত বিজয় মিছিলে অংশ নেন মনিরুল ইসলাম খান। কচুয়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জিরোপয়েন্ট এলাকায় এসে শেষ হয়।

সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, কারাবরণকারী বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম খান, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

এদিকে দীর্ঘদিন পরে এলাকায় ফেরায় খবরে নেতাকর্মীদের মাঝে উচ্ছাস-উদ্দিপনা বিরাজ করছে। মনিরুল ইসলাম খানের এই আগমন বাগেরহাটে বিএনপির নেতাকর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধ করবে বলে আশা তৃণমূলের কর্মীদের।

কচুয়া উপজেলা বিএনপির সমন্বয়ক সরদার জাহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পরে মনিরুল ইসলাম খান এলাকায় আসছেন এটা আমাদের জন্য আনন্দের। আমরা সবাই মিলে তাকে গ্রহন করেছি। বিজয় দিবসে আমরা এক সাথে শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে, খুবই ভাল লাগছে। তার আসার খবরে উপজেলার সকল নেতাকর্মীরা খুবই আনন্দিত।

বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, মাত্র তিন কোটি টাকার মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়েছে। ওই তিন কোটি টাকা এখন ৮ কোটি হয়েছে। উচ্চ আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা ফরমায়েশি মামলায় মনিরুল ইসলাম খানের তরুণ জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা বিজয় দিবসে এর তীব্র নিন্দা জানাই।

৫৫ বছর বয়সী মনিরুল ইসলাম খানের জন্ম বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। কচুয়া উপজেলার সদরের সিএস পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে, পিরোজপুরের সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরে একই কলেজ থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জিবিত হয়ে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে যোগদান করেন। ছাত্র জীবনে তিনি ছাত্র দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, কচুয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে জেল খেটেছেন। দীর্ঘ সাত বছর কারাভোগের পর নতুন করে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তিনি কারামুক্ত হন। ভবিষ্যতে দেশ ও জাতীর কল্যানে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানান মনিরুল ইসলাম খান।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!