আবারো হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ভারী অস্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালিয়েছে বিজিবি। মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তাদের অভিযান চালানো হয়।
৫৫ বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামিউন্নবী চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে রকেট গোলাসহ বেশকিছু ভারী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করছে বিজিবি। বুধবারও অভিযান চলমান থাকতে পারে বলে জানানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, ৭-৮টি গাড়িতে করে বিজিবির একটি দল মঙ্গলবার বিকেলে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অবস্থান নেয়। তারা সন্ধ্যার পর উদ্যানের প্রধান সড়ক থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার ভেতরের গহীন জঙ্গলে প্রবেশ করে। এরপর থেকে সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
৫৫ বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামিউন্নবী চৌধুরী বলেন, গহীন জঙ্গলে গোলাবারুদ রয়েছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বুধবার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
এর আগে ২০১৯ সালে র্যাব অভিযান চালিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্য থেকে ১৩টি রকেট লঞ্চারের গোলা, ১১টি রকেট লঞ্চারের চার্জার ও ১৩টি রাবার পাইপ বিস্ফোরক উদ্ধার করে। এছাড়া ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র্যাবের তিন দফায় ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, ১টি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, ১টি বেটাগান, ৬টি এসএলআর, ১টি অটো রাইফেল, ৫টি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল ও প্রায় ১৬ হাজার গুলিসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার হয়। একই বছরের ১৬ অক্টোবর উদ্ধার করা হয় ৩টি মেশিনগান, ৪টি ব্যারেল, ৮টি ম্যাগাজিন, ২৫০টি গুলির ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৮টি বেল্ট ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ১টি রেডিও।
এর এক দিন পর ১৭ অক্টোবর আবারও উদ্ধার করা হয় এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০টি, থ্রি নট থ্রি রাইফেলের ১৫২টি, পিস্তলের ৫১৭টি, মেশিনগানের ৪২৫টিসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪টি বুলেট। ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার করা হয় ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট।
খুলনা গেজেট/এনএম