আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সাতক্ষীরা সীমান্তে গরু চোরাচালান, ঈদ পরবর্তী সময়ে চামড়া পাচার ও পুশইন প্রতিরোধসহ যেকোন প্রকারের সীমান্ত অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর কাজ যাতে না হয় সেজন্য বিজিবি সাতক্ষীরা সীমান্ত পাঁচ স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট সংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত প্রেসব্রিফিংয়ে একথা বলেন সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক। এ সময় বিজিবি ভোমরা কোম্পানি কমান্ডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে লে. কর্নেল মো. আশরাফুল হক বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী। বিজিবি সীমান্তে জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্যবান ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে দেশের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ কোরবানির পশু মজুদ রয়েছে। পাশ্ববর্তী দেশ হতে অবৈধভাবে গরু বাংলাদেশে ঢুকে দেশীয় খামারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য বিজিবি দুই ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন ভারতীয় পশু চোরচালান হয়নি এবং হবেও না। একইভাবে ঈদের পর কোরবানীর পশুর চামড়া যাতে সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে যেতে না পারে, সেজন্যও তৎপর রয়েছে বিজিবি।
সম্প্রতি সীমান্ত দিয়ে পুশইন প্রসঙ্গে লে. কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক বলেন, পুশইন প্রতিরোধে বিজিবি সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে সাথে নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পুশইন করায় বিজিবি নিয়মিতভাবে বিএসএফের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ পুশইন শুরু করলে সাতক্ষীরা সীমান্তে ২/১টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিএসএফ কর্তৃপক্ষ আটককৃত যে কোন বাংলাদেশী নাগরিককে তার সমস্ত নাগরিকত্বের প্রমাণপত্রসহ পরিচয় নিশ্চিত সাপেক্ষে বিজিবির নিকট হস্তান্তর করার ব্যাপারে একমত পোষণ করে।
খুলনা গেজেট/এইচ