সাতক্ষীরা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মঙ্গলবার সাতক্ষীরা পৌরসভা মেয়রের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে জেলা নাগরিক কমিটি। স্মারকলিপিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনে জেলা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি পেশ করা হয়।
জেলা নাগরিক কমিটির দাবি গুলোর মধ্যে রয়েছে, জরুরিভাবে পৌরসভার জলাবদ্ধ এলাকার পানি নিষ্কাশনে যেখানে যে ধরণের বাধা রয়েছে তা অপসারণ করতে হবে, পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে যেসব মাছের ঘের গড়ে উঠেছে সেগুলো উচ্ছেদ করতে হবে, তাৎক্ষণিক পানি নিষ্কাশনের কোন পথ পাওয়া না গেলে সেখানে মেশিন দিয়ে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে, পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে স্বল্প মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, এছাড়া পানি নিষ্কাশনের পথ ছাড়া নতুন কোন বাড়ি-ঘর-স্থাপনা নির্মাণের প্লান পাশ বা অনুমতি প্রদান করা যাবে না, সাতক্ষীরা পৌরসভার মাস্টার প্লান করতে হবে, নতুন ভবন নির্মাণের সময় চলাচলের পর্যাপ্ত রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখতে হবে, শহরের সকল রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে, ফুটপাথ রাখতে হবে, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ওভারপাস নির্মাণ করতে হবে, সকল সড়ক সংস্কার করতে হবে, শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক দখলমুক্ত ও ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে, জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য সাতক্ষীরা পৌর অডিটোরিয়ামের ব্যবস্থা করতে হবে, প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ ও খেলার মাঠ করতে হবে, শহরে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন ও শৌচাগার নির্মাণ করতে হবে এবং শহরে শিশু পার্ক ও একাধিক হকার্স মার্কেট গড়ে তুলতে হবে।
জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মো. আনিসুর রহিম ও সদস্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও সাতক্ষীরা পৌরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এইসব এলাকায় বসবাসকারী মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। অনেকের ঘরের মধ্যেই পানি উঠেছে। মানুষের রান্না-খাওয়া, পয়ঃনিষ্কাশন, স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। জেলা কালেক্টরেট চত্বর, জজ কোট চত্তর, পুলিশ লাইন, বিজিবি ক্যাম্প, সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারী দপ্তরও পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
প্রতিবছর এই জলাবদ্ধতা কবলিত এলাকার পরিধি বাড়ছে। এর ফলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ থেকে শুরু করে জনগণের সহায় সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু পৌরসভার পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তাঁরা নাগরিক কমিটির দাবি গুলো দ্রুত বাস্তবায়নে পৌর কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
খুলনা গেজেট/এমআর