সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে সাতক্ষীরা সদর, বাগেরহাটের মোংলা ও ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে।
সাতক্ষীরা :
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকাল সাড়ে৭ টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাদড়া, ভাড় খালী, মাহমুদপুর, ও বাউখোলাসহ ৬টি স্থানে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে মহিলারাও অংশগ্রহন করে।
একযুগ ধরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলাসহ ৩টি উপজেলায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে।
মোংলা :
বাগেরহাটের মোংলায় ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছে ২০ গ্রামের মানুষ। সকাল সাড়ে ৮টায় মোংলা উপজেলার চটেরহাট বাজার জামে মসজিদে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দুই শতাধিক মুসল্লী ঈদের নামাজ আদায় করেন।
নামাজে ইমামতি করেন, চটেরহাট বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আজহারুল ইসলাম। মুসল্লীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়েন ছিল মসজিদ এলাকায়।
প্রায় ৪৫ বছর যাবত মোংলা উপজেলার মিঠাখালীসহ আশপাশের ২০ গ্রামের মানুষ আরব দেশগুলোর সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে থাকেন।
চটেরহাট বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আজহারুল ইসলাম বলেন, সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টার। আর এ সময়টুকুর কারণে পুরো দিনের পাথর্ক্য হতে পারে না। তাই আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজাও রেখেছি এবং ঈদের নামাজও আদায় করেছি। বিগত বছরের তুলনায় এবারের জামায়াতে মুসল্লির উপস্থিতি বেশি ছিল বলে জানান তিনি।
হরিণাকুণ্ডু :
এদিকে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরতলীর চটকাবাড়িয়া ও উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের ভালকি, পোড়াহাটি ইউনিয়নের নিত্যানন্দপুর গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক মুসুল্লি ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।
ঈদের নামাজ পড়তে আসা কয়েকজন মুসুল্লির সাথে কথা হলে তারা জানান, সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বুধবার শাওয়ালের চাঁদ দেখায় বৃহস্পতিবার ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তাদের মতে বিশ্বের যে কোন দেশে চাঁদ দেখা গেলেই ঈদ উদযাপন করতে পারবেন তারা। আগাম এ ঈদ উৎসব পালন নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে মত পার্থক্য থাকলেও কখনো কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে মতপার্থক্য নিরসনে সরকারী পদক্ষেপ দাবি করেন অনেকে।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, আগাম ঈদ উদযাপনকে কেন্দ্র করে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই