সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. শাহ আলম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেনসহ নির্বাহী কমিটির সাবেক ১১ সদস্যকে ছয় বছরের জন্য বারের নির্বাচনী কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির বাজেটের হিসাব বহির্ভুত ৬৯ লাখ টাকার অবকাঠামোগত কাজ ও গঠনতন্ত্র বহির্ভুত বিভিন্ন অনিয়মের জন্য সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভায় তাদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে, এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে আইনজীবীদের একাংশ।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আবুল হোসেন (২) বলেন, ৬ কর্মদিবস আগে সমিতির সাধারণ সভা শুরু হয়। মুলতবী সভা ষষ্ঠ দিনের মত সোমবার পর্যন্ত চলে। সাধারণ সভায় গত বছরের ৩০ মে ১৪১ জন আইনজীবীর দেওয়া একটি অভিযোগপত্র নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।
অভিযোগপত্রের বিষয় ছিল, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন তোজামের নেতৃত্বাধীন কমিটি বাজেট বহির্ভুতভাবে ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পানির ফোয়ারা, লিফট নির্মাণসহ ৫টি অতিরিক্ত কাজ করেছে। বাজেট বহির্ভুত কাজ যেহেতু গঠনতন্ত্র বিরোধী তাই তাদেরকে ২ অভিযোগে তিনবছর তিনবছর করে মোট ৬ বছর বারের নির্বাচনী কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ৬ বছর তারা বারের কোনো ভোট করতে পারবেন না।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রেজওয়ানউল্লাহ সবুজ বলেন, আগের কমিটির সদস্যদের নির্বাচনী কার্যক্রম নিষিদ্ধের পাশাপাশি সভায় আগামী নির্বাচন পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়। অ্যাড. এস এম হায়দারকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অ্যাড. শফিকুল ইসলাম, অ্যাড. শম্ভুনাথ সিংহ, অ্যাড. খায়রুল বদিউজ্জামান ও অ্যাড. শাহনাজ পারভীন মিলিকে সদস্য করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করা হয়।
তবে, আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্ত ঘোষিত হওয়ার পরে আদালত চত্ত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আইনজীবীদের একটি অংশ। আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনের সামনে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন তারা।
অ্যাড. আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আড. শাহ আলম. অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সমিতির সিদ্ধান্ত একপেশে। বাজেট বহির্ভুত খরচের কথা বলে সাবেক সভাপতি অ্যাড. শাহ আলম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন তোজামসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হটকারী সিদ্ধান্ত।
এবিষয়ে অ্যাড. শাহ আলম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক। কাজের অনিয়মের বিষয়ে তারা প্রমাণ দিতে পারছেন না। বাজেটের মধ্যে ৫টি কাজের তালিকা নেই বলে অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। আসল বিষয় হলো, উন্নয়নের ৫টি কাজ বাজেটের মধ্যেই ছিল।
খুলনা গেজেট/ এস আই