সরকার উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সাতক্ষীরা শহরের বাইপাস সড়কের বকচরা এলাকায় রাস্তা ও কালভার্টে অগ্নিসংযোগ করে ত্রাস সৃষ্টি, সরকারি সম্পদ নষ্ট করার অভিযোগে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমানসহ ৭৬ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর ঢালীপাড়ার আব্দুল করিম সরদারের ছেলে আলাউল ইসলাম বাদি হয়ে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়রি) সদর থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ও ২৫ (বি) ধারায় এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা সদরের ভাড়ুখালি গ্রামের শ্যামলী মোড়লের ছেলে ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, শহরের কাটিয়া মাঠপাড়ার গোলাম নবী সরদারের ছেলে আব্দুল খালেক, শহরের প্রাণসায়ের এলাকার খন্দকার আবু বক্কর ছিদ্দিকের চেলে খন্দকার আওরঙ্গজেব, সদর উপজেলার চুপড়িয়া গ্রামের শাসছুদ্দিন গাজীর ছেলে যুবলীগ নেতা শহীদুজ্জামান শাহীন, আলীপুর চেক পোষ্ট এলাকার ফজর আলী সরদারের ছেলে সেলিম হোসেন, হাড়দ্দহ গ্রামের নূর আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম, শহরের ইটাগাছার আলেক গাজীর ছেলে মোঃ হান্নান গাজী ও সদরের বেতলা গ্রামের আলেক সরদারের ছেলে আতাউল হক সরদার (আতা)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার জন্য রোববার ভোর ৬টার দিকে বাইপাস সড়কের সাতক্ষীরা শহরতলীর বকচরা মোড় এলাকায় বাঁশ, লাঠি, লোহার রড, কুড়াল, দা ইত্যাদি নিয়ে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা ও কালভার্টের ক্ষতিসাধন করার লক্ষে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে মিছিল করে। স্থানীয় লোকজন সেখানে জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় তারা সরকারি জিনিসপত্র ক্ষতি করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শামিনুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
খুলনা গেজেট/এনএম