সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম। দলের সভাপতি ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত দলীয় মনোনয়ন রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নজরুল ইসলামের হস্তগত হয়।
এবিষয়ে নজরুল ইসলাম জানান, মনোনয়ন পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। নজরুল ইসলাম মনোনয়ন পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
দলীয় একটি সূত্র জানায়, শনিবার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দেশব্যাপী দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে সেই তালিকার সাতক্ষীরার স্থানে ফাঁকা রাখা হয়। তবে রবিবার দুপুরের দিকে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলামকে মনোনয়ন দিয়ে সাতক্ষীরা জেলার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়।
নজরুল ইসলামের মনোনয়ন প্রাপ্তিতে মনোনয়ন প্রত্যাশি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাশা অনেকে করতেই পারে। তবে নেত্রী যেহেতু দলীয় মনোনয়ন নজরুল ইসলামকে দিয়েছেন, তাই আমি তাকে সর্বাত্মক সমর্থন করব। একইভাবে নজরুল ইসলামকে সমর্থনের কথা জানান জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও মনোনয়নপ্রত্যাশি এজাজ আহমেদ স্বপন।
তবে এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন সাতক্ষীরার সুলতানপুর এলাকার ব্যবসায়ি এম খলিলুল্লাহ ঝড়ু। তিনি সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটিডের চেয়ারম্যান। পাশাপাশি তিনি ঢাকাস্থ সাতক্ষীরা সমিতি ও সীমান্ত আদর্শ কলেজের সভাপতি।
জেলা পরিষদের নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশি ছিলাম না। অনেক আগে থেকে আমি জনগণের জন্য কাজ করছি। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আমি পক্ষপাত ও দুর্নীতিমুক্ত জেলা পরিষদ গঠন করব। উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকায় বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,নজরুল ইসলাম ও খলিলুল্লাহ ঝড়ু ছাড়া অন্য কোন প্রার্থী জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেননা।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের মনোনয়নপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম ২০০৫ সাল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ২০১৭ সালে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ৬৪৮ ভোট পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালিন সভাপতি ও দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত মুনসুর আহমেদকে বিপুল ভোটে হারিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১ হাজার ৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই