শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবরে সোমবার (৫ আগষ্ট) বিকালে সাতক্ষীরা শহরে আনন্দ মিছিল করে বৈষম্য বিরোধী কোটা সংষ্কার আন্দোলকারিরা। এসময় শহরের বিভিন্ন স্থানে ও আওয়ামী লীগের অফিসসহ বিভিন্ন নেতা কর্মীর বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষুব্ধ জনতা সন্ধ্যার আগে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে ঢুকে সব হাজতী ও কয়েদীদেরকে বের করে দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবর চাউর হওয়ার পর সাতক্ষীরা শহরের আনন্দ মিছিল করে বৈষম্য বিরোধী কোটা সংষ্কার আন্দোলকারিরা। এসময় তাদের সাথে বিএনপি ও জামায়াত দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ যোগদেয়। প্রথমে তারা শহরের খুলনা রোড মোড়ে জড়ো হয়। পরে মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। এসময় পুলিশ সুপারের বাস ভবনের গেটের গ্লাস ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পর্যায়ক্রমে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ এর বাড়ি ও বাস টার্মিনালের পাশে অবস্থিত তার পত্রিকা অফিস, পিপি অ্যাডঃ আব্দুল লতিফ, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান ও তার ভাই আব্দুল হান্নান, অ্যাডঃ তামিম আহমেদ সোহাগ, শহরের পোষ্ট অফিস মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগের অফিস, রাধানগরস্থ মুক্তিযোদ্ধা অফিসের দোতালায় ভাংচুর ও কয়েকটি স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ কের সদর থানা ভবনের দোতালা ও ট্রাফিক অফিসের দোতালার গ্লাস ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ২৫/৩০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এদিকে একদল জনতা সন্ধ্যার আগে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের প্রধান ফটক ভেঙ্গে ভিতরে ঢোকে। এসময় কারারক্ষীরা সহজে কারাগারের গেট খুলে দিলে তারা ভিতরে ঢুকে হাজতী ও কয়েদীদেরকে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। তবে স্বল্প মেয়াদের সাজা আছে এমন কিছু সংখ্যাক কয়েদী এখনো কারাগারে রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ফারুক হোসেন মোস্তাফিজুর রহমান জানান। এরির্পোট লেখা পর্যন্ত শহরের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।