বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সাতক্ষীরা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া বন্দিরা ফিরে আসতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বেলা ৩ টা পর্যন্ত পালিয়ে যাওয় বন্দিদের মধ্যে ৪৪৩ জন ফিরে এসেছেন। সন্ধ্যা নাগাদ আরো বেশ কয়েকজন আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা কারাগারের জেলার হাসনা জাহান বিথি। এর আগে সোমবার (৫ আগষ্ট) সন্ধ্যায় বিক্ষুব্ধ জনতা কারাগারে ঢুকে ৫৯৬ জন বন্দিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।
প্রত্যক্ষদর্শী মোস্তাফিজুর রহমান ও ফারুক রহমান জানান, একদল বিক্ষুব্ধ জনতা সোমবার (৫ আগষ্ট) সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের প্রধান ফটক ভেঙ্গে ভিতরে ঢোকে। এসময় তারা কারাগারের নিরাপত্তা গেট ভেঙ্গে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে কারারক্ষীরা সহজে গেট খুলে দেয়। জনতা ভিতরে ঢুকে সেল ও সাধারণ ওয়ার্ড ভেঙে হাজতী ও কয়েদীদেরকে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। অন্যান্য আসামীদের সাথে সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে যে কয়জন ওই কারাগারে ছিলেন তারও সবাই চলে যায়। তবে স্বল্প মেয়াদের সাজা আছে এমন কিছু সংখ্যাক কয়েদী কারাগারে রয়ে যায়।
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা কলারোয়া উপজেলার বামনখালী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ভাগ্নি জামাই শহরের পলাশপোল এলাকার সিরাজ জানান, শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা-মামলায় তার মামা শশুর সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে ছিলেন। সোমবার (৫ আগষ্ট) সন্ধ্যায় একদল লোক এসে তাদের কারাগার থেকে বের হয়ে যেতে বললে তারা কোন কিছু না বুঝে বাইরে বেরিয়ে যান। পরেরদিন থেকে কারা কর্তৃপক্ষের মাইকিং শুনে মঙ্গলবার (৬ আগষ্ঠ) বিকালে তিনি ফের কারাগারে ফিরে যান।
সাতক্ষীরা কারাগারের জেলার হাসনা জাহান বিথি জানান, কারাগারে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের আসামি ও কয়েদি ছিলেন ৫৯৬ জন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৪৪৩ জন ফিরে এসেছেন। এর মধ্যে সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের যে কয়জন এখানে ছিলেন তাদের মধ্যে কালিগঞ্জের এ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার ছাড়া বাকিরা সবাই ইতিমধ্যে কারাগারে ফিরে এসেছেন। এ্যাডঃ আব্দুস সাত্তার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে চলে আসবেন বলে আমি জানতে পেরেছি। বাকি ৫৩ জন আসামীর মধ্যে অধিকাংশরা ফিরে আসবেন বলে আমি আশা করছি। তবে ২/৫ জন আসামী হয়তো ফিরে নাও আসতে পারে।
খুলনা গেজেট/এনএম