সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ১১জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এসময় র্যাপিড এন্টিজেন কীট ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৪৩ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ৫ জন করোনা পজেটিভ ও বাকি ৩৮ জন সাসপেক্টেড। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৮ জন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরা সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ২৫ নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ১২ টি নমুনা পরীক্ষা করে কারো করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়নি। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৯২৯ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৮০১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছে ৮ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৫৩ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ৩০জন। জেলায় প্রথম থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৭৭৭ জন। জেলায় গড় সংক্রমনের হার ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
সিভিল সার্জন আরো জানান, গত ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলায় ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯৪৭ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮৫ হাজার ৫৩৫ জন। এদিকে সেনোফর্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৮০৫ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭ লক্ষ ৮৫ হাজার ৮৩৬ জন। ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৪৩০ জন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১৯ হাজার ২৪২ জন। সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লাখ ১০ হাজার ১৭৬ জন। এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের বুষ্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ১৩ হাজার ৫৮৯ জন এবং ফাইজার ভ্যাকসিনের বুষ্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ৯১ জন।
তিনি আরো জানান, সাতক্ষীরা জেলায় এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫৮ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ৮ লাখ ৯০ হাজার ৬২৩ জনকে এবং তৃতীয় ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে ১৩ হাজার ৬৮০ জনকে।
খুলনা গেজেট/এনএম