সাতক্ষীরার দেবহাটার খলিশাখালীর ১৩২০ বিঘা মৎস্যঘেরের রেকর্ডিয় জমি জবর দখলের নেতৃত্বদানকারী ভুমিদস্যু, একাধিক মামলার আসামী ইসমাইল গাজীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দেবহাটা থানা পুলিশের অভিযানে সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের ৮’শ বিঘা মৎস্যঘের এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ইসমাইল গাজী সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউপি সদস্য ও নোড়ারচক গ্রামের মৃত আকরাম গাজীর ছেলে।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, খলিশাখালীর ১৩২০ বিঘা মৎস্যঘেরের রেকর্ডিয় জমি জবর দখলের নেতৃত্বদানকারী ভুমিহীন নামধারী সন্ত্রাসী, ভুমিদস্যু ও একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ইসমাইল গাজীসহ তার কয়েকজন সহযোগী নোয়াপাড়া গ্রামের মৎস্যঘের অধ্যুর্ষিত ৮’শ বিঘা নামকস্থানে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি আভিযানিকদল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে সন্ত্রাসী ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা গেলেও অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ওসি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত ইসমাইল গাজীর রিুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা করে আসামী ছিনতাই, চাঁদার দাবিতে মারপিট, অবৈধ অস্ত্র ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তার ওয়ারেন্টও রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর নোড়ারচকের সন্ত্রাসী ইসমাইল এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা দেবহাটার খলিশাখালি নামক স্থানের তিন’শ জন রেকর্ডীয় মালিকের ১৩২০ বিঘা জমি জবরদখল ও মৎস্য ঘের লুট করে নেয়। এ সময় মৎস্য ঘেরের প্রায় ৪ কোটি টাকার মাছ লুট করে নেয়। সম্প্রতি প্রশাসনের সহযোগিতায় জবরদখলকৃত জমি ও মৎস্য ঘের পূনরাদ্ধারের পর পুলিশের একের পর এক অভিযানে ইসমাইল বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার হলেও আত্মগোপনে চলে যায় বাহিনী প্রধান ইসমাইল।
এর আগে ইসমাইল স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের আর্শীবাদপুষ্ট হয়ে ঢুকে পড়ে উপজেলা যুবলীগে। এরপর যুবলীগের সাইনবোর্ড লাগিয়ে খলিশাখালি জনপদ জবরদখলে নিয়ে ওই জনপদকে অপরাধের অভয়াশ্রম হিসাবে গড়ে তোলে। তার বিরুদ্ধে একের পর এক সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ থাকায় ইতিমধ্যে ইসমাইলকে যুবলীগের ত্রান সম্পাদকের পদ থেকে বহিস্কারও করেছেন উপজেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
খুলনা গেজেট/ এমএম