সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে এই আদেশ দিয়েছেন, সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল এর বিচারক এম জি আজম।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীর নাম শ্রী কার্তিক কুমার ঘোষ (৩৯)। তিনি সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের তেজেন্দ্র নাথ ঘোষ ওরফে ভোম্বলের ছেলে।
মামলার এক নম্বর আসামী কার্তিক কুমার ঘোষকে ২০০১ এর (ক) ধারার অপরাধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে আসামীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এছাড়া মামলার অপর পাঁচজন আসামীকে আদালত খালাস প্রদান করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০১ সালে খুলনার দোলখোলা বাইলেনের বাসিন্দা গোঁসাই চন্দ্র ঘোষের মেয়ে শিপ্রা ঘোঘ (২৫) কে বিয়ে করেন আসামী কার্তিক কুমার ঘোষ। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবীতে স্বামী কার্তিক ও তার পরিবারের সদস্যরা শিপ্রার ওপর নির্যাতন চালাতে শুরু করে। এরই মধ্যে তাদের সংসারে প্রিতম ঘোষ নামের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এমতাবস্থায় ২০১০ সালের ১৩ মে তারিখ রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে মোবাইলে শিপ্রার মা নমিতা রানী জানতে পারেন তার মেয়ে মারা গেছে। এই খবর পেয়ে ভোর রাতে তারা পাটকেলঘাটার রাজেন্দ্রপুর গ্রামে আসেন। বারান্দায় মেয়ে শিপ্রার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। শিপ্রার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। কান ও থুতনি দিয়ে রক্ত পড়তে দেখে তারা পাটকেলঘাটা থানায় খবর দেন।
পরে নমিতা রানী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ০৪। তারিখ- ১৪-০৫-২০১০ ইং। মামলায় জামাই কার্তিকসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। মামলার ২৮ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও অন্যান্য কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বিচারক ১ নম্বর আসামী কার্তিক কুমার ঘোষকে মৃত্যুদন্ড দেন। অপর পাঁচজনের খালাস দেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পিপি এড জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম