সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের দহকুলা গ্রামে চাচীর সাথে ভাইপো’র পরকীয়া সর্ম্পকের জের ধরে দিনমজুর আব্দুল আজিজকে জবাই করে হত্যা করা হয়। নিহতের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন ও ভাইপো নজরুল ইসলাম সোমবার (৭ডিসেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায় ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিুবল ইসলামের আদালতে পৃথকভাবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এরআগে রবিবার ভোরে দিনমজুর আব্দুল আজিজ মোল্যা হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন ও ভাইপো নজরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায় পরকীয়ার জেরে তারা তাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার ভোর রাত ৩টার দিকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করে পুলিশ। নজরুল ইসলাম নিহতের ভাইপো । নিহত দিনমজুর আব্দুল আজিজ মোল্যা (৫৫) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নের দোহাকুলা গ্রামের মৃত এনামুল্লাহ মোল্যার ছেলে।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ জানান, দিনমজুর আব্দুল আজিজ মোল্যা হত্যাকান্ডের পর স্থানীয় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর মধ্যে নিহতে স্ত্রী রোকেয়া খাতুন ও ভাইপো নজরুল ইসলামের আচরণ সন্দেহজনক হলে তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে পরকিয়ার জেরে তারা গত শনিবার রাতে আব্দুল আজিজকে বাড়ির পিছনে বাঁশ বাগানে নিয়ে ধারালো দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে। একই সাথে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে যে দা দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটিও জব্দ করা হয়। তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুই জন সোমবার বিকালে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায় ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিুবল ইসলামের আদালতে পৃথকভাবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সাতক্ষীরা কোর্ট ইন্সপেক্টর অমল কুমার জানান, রোকেয়া খাতুন বিকালে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায় এর আদালতে এবং নজরুল ইসলাম সন্ধ্যায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিুবল ইসলামের আদালতে পৃথকভাবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের দহাকুলা গ্রামের মোল্যাপাড়ার আব্দুল আজিজ মোল্যাকে বাড়ির পিছনে বাঁশ বাগানে দা দিয়ে কুপিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে পরদিন সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন