সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে তদন্তকারি কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দেওয়ায় স্বামী ও স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের শহীদুল ইসলামের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন বাাদি হয়ে রোববার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
সাতক্ষীরা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোঃ হুমায়ুন কবীর শুনানী শেষে বাদির অভিযোগটি আমলে নিয়ে ঘটনার তদন্ত করে আগামি ২৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের আব্দুল আজিজ গাজীর ছেলে নজরুল ইসলামের কাছ থেকে জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ ৮৪ হাজার টাকা ধার নেন। নিদ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় তিনি জনৈক আব্দুল হামিদের কাছ থেকে বায়নাকৃত ৫ কাঠা জমি নজরুলের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার প্রতিশ্রতি দেন। পরবর্তীতে জমি লিখে না দিয়ে বা টাকা পরিশোধ না করে গত ৩০ অক্টোবর নজরুলকে বাড়ি থেকে হেঁকে দেন। এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে গত বছরের ৯ নভেম্বর সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিচারক মোঃ হুমায়ুন কবীর চলতি বছরের ৮ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ি পিবিআই এর উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমান গত ৫ জানুয়ারি সকাল ১১টায় ঘটনার তদন্তে দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামে নজরুল ইসলামের বাড়িতে যান। এ সময় সাক্ষী দেন তার মেঝ ভাই শহীদুল ইসলাম। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তদন্তকারি কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পরপরই আব্দুল লতিফের ছেলে আমিনুল ইসলাম রাসেলের নেতৃত্বে শরিফুল ইসলাম, আব্দুল মোমেন, রেজাউল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, ও আনারুল ইসলাম পরিকল্পিতভাবে শহীদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে পিটিয়ে জখম করে। রোববার আদালতে এ মামলা (সিআর-২০/২১ সদর) দায়ের করা হয়।
মামলায় আমিনুল ইসলাম রাসেল, শরিফুল ইসলাম, আব্দুল মোমেন, রেজাউল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, ও আনারুল ইসলামকে আসামী করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অ্যাড. আব্দুল লতিফের ছেলে রাসেল নিজেকে মারপিটের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, তিনি পিবিআই কর্মকর্তার সঙ্গে ছিলেন। বীমার টাকা পাওনাদাররা শহীদুলসহ কয়েকজনকে মারধর করেছে। অ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, তার ছেলেসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের পেশকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন