সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলারোয়া থানার তৎকালিন পুলিশ পরিদর্শক শফিকুর রহমান মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ২০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা শেষ হলো। আগামি ২৯ ডিসেম্বর আসামীদের ৩৪২ ধারায় মতামত গ্রহণের পাশপাশি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেছেন বিচারক মোঃ হুমায়ুন কবীর।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানীতে অংশনেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী, সহকারি এটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, অ্যাড. তপন কুমার দাস, সাবেক পিপি অ্যাড. ওসমান গনি, অ্যাড. ইউনুস আলী, অ্যাড. মোজাহার হোসেন কান্টু, অ্যাড. আজাহার হোসেন অ্যাড তামিম আহম্মেদ সোহাগ, অ্যাড. শহীদুল ইসলাম পিন্টু, অ্যাড. ওকালত আলী প্রমুখ।
আসামীপক্ষে শুনানীতে অংশ নেন বাংলাদেশ হাইকোর্টের অ্যাড.শাহানারা আক্তার বকুল, অ্যাড. আব্দুল মজিদ(২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাড তোজাম্মেল হোসেন তোজাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে আসেন। হাসপাতাল থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ ওঠে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উলেখ পূর্বক অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উলেখ করে ৩০ জনকে স্বাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেখ সফিকুল ইসলাম।
অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর বলেন, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হওয়ার পর আর কোন সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করা হবে না মর্মে আদালতকে অবহিত করলে ২৯ ডিসেম্বর মামলার যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করা হয়। সেক্ষেত্রে মহামান্য হাইকোর্টের দেওয়া তিন মাসের মধ্যে রায় ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। মামলার সাক্ষীরা যেভাবে সাক্ষী দিয়েছে তাতে সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ আসামীদের সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজা হতে পারে। মঙ্গলবার আদালতের কাঠগোড়ায় ৩৭ জন আসামী উপস্থিত ছিলেন।
আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল মজিদ বলেন, মামলার যে সমস্ত দুর্বল জায়গা রয়েছে তাতে সকল আসামী বেকসুর খালাস হবে বলে তিনি আশাবাদি।
খুলনা গেজেট/কেএম