শীতে সাতক্ষীরা জেলার শিশুদের মধ্যে রোটা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য হারে হাসপাতালে শিশুরা ভর্তি হচ্ছে। গত ১০ দিনে প্রায় ৩’শতাধিক শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় চিকিৎসকগণ আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আবুল বাসার বলেন, গত দশদিনে শীতের কারণেে রোটা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সাতক্ষীরা সদর, শিশু হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু রোগীর চাপ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বেডের অভাবে অনেক শিশুকে হাসপাতালের বারান্দায় ও মেঝেতে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা দিনি বৃদ্ধি পাওয়ায় অভিভাবকরা হতাশ হয়ে ছুটছেন হাসপাতালে। তবে চিকিৎসক সংকট থাকায় সেবা পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রোগীর অভিভাবকদের। জেলার সদর, মেডিকেল ও শিশু হাসপাতালের ১০৭টি বেডের বিপরিতে ৪জন বিশেষজ্ঞ ও ৮জন অভিজ্ঞ শিশু চিকিৎসক এসব শিশুদের সেবা প্রদান করছেন। প্রতি বছরই শীতে কোল্ড ডায়রিয়া বাড়ে। হাসপাতালে নিয়ে আসা শিশুদের চিকিৎসার কোন সমস্যা হচ্ছেনা জানিয়ে এই চিকিৎসক শিশুদের নিয়মিত পরিচর্যার পাশাপাশি বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাদ্য প্রদানের কথা জানান।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আহমেদ হোসাইন বলেন, শীতে রোটা ভাইরারে আক্রান্ত হয়ে শিশুদের এই ডায়রিয়া হচ্ছে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুদের এন্টিবায়োটিক ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসকের।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুর অভিভাবক শহরের বাটকেখালী এলাকার আজিজুল ইসলাম জানান, বাচ্চাটি হঠাৎ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে এনেছি। ডাক্তার চিকিৎসা দেয়ার পর এখন অনেকটা ভাল। কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে সেবা গ্রহণের পর তাদের সুস্থ্যতার কথা জানান অভিভাবকরা।
সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সবিজুর রহমান বলেন, সাতক্ষীরা সদর, শিশু হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শিশুদের ডায়রিয়ার চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। কোন সমস্যা দেখা দিলে অভিভাবকদের দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন জেলার শীর্ষ এই চিকিৎসা কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, বছর শীতে রোটা রাইরাস সংক্রামণ ছড়িয়ে পড়ায় শিশুদের ডাইরিয়া রোগ বেশি দেখা দেয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেলে আক্রান্ত শিশুরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করে। অভিভাবকদের হতাশ না হয়ে শিশুদের শীতমুক্ত পরিবেশে বিশুদ্ধ খাবার প্রদানের পরামর্শ দেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ এসজেড