সাতক্ষীরায় ‘করোনা পরিস্থিতিতে যৌনকর্মীদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক এক অ্যাডভোকেসি সভা বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। দ্য গ্লোবাল ফান্ড/সেভ দ্য চিলড্রেন এর সহায়তায় বেসরকারি সংস্থা লাইট হাউজ এই সভার আয়োজন করে।
সাতক্ষীরা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেবাশীষ সরদারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শফিউল আযম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ রোকনুজ্জামান।
বক্তৃতা করেন সেভ দ্য চিলড্রেন এর সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার (এইচআইভি/এইড্স) সেলিমা সুলতানা। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন লাইট হাউজের উপ-নির্বাহী প্রধান কে এস এম তারিক।
প্রধান অতিথি বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় ৫১৫ জন ভাসমান যৌনকর্মী আছে। এদের মধ্যে ২২৫ জন করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতির শিকার হয়েছে। ফলে তারা খেয়ে না খেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। এছাড়া ত্রাণ সহায়তা গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা জাতীয় পরিচয়পত্রের সমস্যা। নারী যৌন কর্মীরা কোভিড-১৯ এর কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় আছে। এ কারণে তাদের উপার্জন এবং স্বাস্থ্য দু’টির উপরেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এর ফলে তাদের উপার্জন অনেক হ্রাস পেয়েছে।’
সভায় অতিথিবৃন্দ আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, ‘সমাজে যারা এই পেশায় এসেছে তারা কেউ স্বেচ্ছায় আসেনি। কাজেই তারা যেন কেউ অনাহারে না থাকে সেজন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
বক্তারা বলেন, ‘যৌন কর্মীদের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা প্রয়োজন, যেনো তারা নিজেদের উপার্জন জমা করতে পারে।
বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে যৌন কর্মীদের জন্য সহযোগিতার হাত বড়িয়ে দিতে হবে। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের বিকল্প আয়ের সাথে যুক্ত করে সমাজের মূলধারায় নিয়ে অসার চেষ্টা করা যেতে পারে।’
অ্যাডভোকেসি সভায় সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, যৌন কর্মীসহ ২৫ জন অংশ নেন।
খুলনা গেজেট/এনএম