সাতক্ষীরায় ডোপ টেস্টের মাধ্যমে মাদক সেবনকারী শনাক্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ। জেলাব্যাপী মাদকের বিরুদ্ধে চলছে সাঁড়াশী অভিযান। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৮ জনকে আটক করে তাদের ডোপ টেস্ট করে। এর মধ্যে ১৬ জনের রিপোর্ট পজেটিভ পায় পুলিশ। বাকী ২২ জনের রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। ডোপ টেস্টে পজেটিভ পাওয়া ব্যক্তিদের নিকট থেকে পুলিশ জানতে পারে কাদের কাছ থেকে তারা মাদক কিনেছিল? সেই সূত্র ধরেই মাদক ব্যবসায়ীদের আস্তানায় হানা দিচ্ছে পুলিশ। ফলে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নির্মূলে এবার জোরে সরে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ভোমরা স্থলবন্দর এলাকার মাদক স্পটগুলোতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় ৩৮ জনকে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) এর নির্দেশনায় সদর উপজেলার ভোমরা এলাকায় সদর থানা পুলিশ এবং সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্স এর ২০ জন সদস্যের সমন্বয়ে ঘঠিত টিম এই মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা সদর সার্কেল মির্জা সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান, পুলিশ পরিদর্শক (অপাঃ) বিপ্লব সরকার, এসআই প্রদীপ কুমার সানা, এসআই মানিক কুমার সাহা, এসআই হাবিব, এসআই অহিদুলসহ অন্যান্যরা। এছাড়া সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার জয়ন্ত কুমার সরকারও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মুনির-উল-গীয়াস বলেন, পুরিশ সুপারের নির্দেশে পুলিশের পৃথক টিম বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত (১৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলা ব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ৭০০ গ্রাম গাঁজাসহ রঘুনাথপুর গ্রামের ইসমাইল মোড়লের ছেলে ইছাক মোড়ল (৪০) ও বাকসা গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (৩০) কে এবং ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ ঝাঁপাঘাট গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মেহেদী হাসান পলাশ (২৭) ও সোনাবাড়িয়া গ্রামের মৃত বাছের আলীর মেয়ে হামিদা খাতুন (৩৫)কে গ্রেফতার করে।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন থানা ও অন্যান্য জেলার মাদকসেবীরা ভোমরার স্থলবন্দর ও সীমান্তবর্তী এলাকায় এসে মাদক সেবন করে আবার নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এসময় বাহ্যিক লক্ষণ বিবেচনায় এবং উপস্থিত ডাক্তারের পরামর্শে মোট ৩৮ জনকে মাদকসেবী সন্দেহে ডোপ টেস্টের জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ডোপ টেস্ট শেষে ১৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এবং ২২ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। মাদকাসক্ত প্রমাণিত ১৬ জনের নিকট যে সমস্ত মাদক ব্যবসায়ী মাদক বিক্রি করেছিল তাদেরকে সনাক্ত করে পুলিশ। আটক মাদক সেবনকারীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এমআর