ভ্যানযাত্রী মোমরেজুল হত্যা মামলার মূল আসামি মনিরুজ্জামান মন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুুলিশ।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) ইটায় এক পেস্রব্রিফিং এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি বলেন, ১৯ মার্চ রোববার রাতে ভ্যানে চড়ে মোমরেজুলসহ চার জন যাত্রী আখড়াখোলা বাজার থেকে মোচড়া মোড়ে আসে। এ সময় ভ্যান চালক মিন্টু সবার কাছে অতিরিক্ত ৫ টাকা ভ্যান ভাড়া দাবি করে। এ নিয়ে মোমরেজুলের সাথে ভ্যানচালক মিন্টুর কথা কাটাকাটি হয় এবং দুজনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে মিন্টু তাকে উপর্যুপরি মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় মোমরেজুলকে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ২০ মার্চ রাত সোয়া ১ টার দিকে মোমরেজুল মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত মোমরেজুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন রাশেদ বাদী হয়ে ঘাতক মিন্টুর নামে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে এ ঘটনার পর ভ্যানচালক মিন্টু ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করে।
তিনি আরও জানান, মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে থাতক মিন্টুকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার থানা পুলিশের একটি চৌকসদল নীলফামারী জেলার ডোমার থানার সোনারায় ইউনিয়নের পূর্ব সোনারায় গ্রামের ঘাতক মিন্টুর খালাতো বোন বিউটি খাতুনের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। গ্রেপ্তাকৃত আসামীকে শুক্রবার (২৪ মার্চ) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।