আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিএনপি- জামায়াতের টানা অবরোধের পর দুই দিনের হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। হরতালের দ্বিতীয় দিনে সোমবার (২০ নভেম্বর) সাতক্ষীরায় জীবনযাত্রা ছিল স্বাভাবিক। তবে আন্তঃজেলা বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও ঢাকাগামী দুরপাল্লার অধিকাংশ পরিবহন ছিল।
এদিকে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের নিয়মিত অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের ১০ জন নেতা কর্মীসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। রোববার হতে সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত জেলার আটটি থানায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। এরমধ্যে নাশকতার অভিযোগে বিএনপি জামায়াতের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, হরতালের দ্বিতীয় দিনে শহরের দোকান পাট, অফিস আদালত ও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। শহরের কোথাও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিছিল সমাবেশ বা পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। তবে যে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ভোর থেকে শহরের ইটাগাছা হাটের মোড়, সঙ্গীতা মোড়, নিউ মার্কেট মোড়, জজকোর্ট মোড়, খুলনা রোড মোড়, বাসস্টান্ড, জেলা পরিষদ মোড়, নারিকেলতলা মোড়, পাকাপুলের মোড়, নবারুন স্কুলের মোড়, পুরাতন সাতক্ষীরাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়।
শহরের নিউ মার্কেট মোড়ে ভ্যান চালক রহমত উল্লাহ বলেন, দ্রব্যমূল্যর চড়া বাজারে সংসার চালাতে হিসশিম খাচ্ছি। ভ্যান না চালালে সংসার চালাবো কিভাবে, পরিবারের সদস্যদের কি হবে প্রশ্ন রেখে বলেন সংসার চালাতে রাস্তায় বের হয়েছি।
সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাজী ফিরোজ হাসান বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালে সাধারণ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। ব্যবসায়ীরা তাদের কথায় দোকান পাট বন্ধ রাখেনি। সবকিছু স্বাভাবিক চলছে।
খুলনা গেজেট/এমএম