সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির কোন্দল ফের প্রকাশ্য রূপ লাভ করেছে। আহবায়ক ও সদস্য সচিব এবং তিনজন যুগ্ম আহবায়ক কর্তৃক পাল্টা পাল্টি কমিটি ঘোষনা করায় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আর এর মধ্যদিয়েই দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এলো দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা এই দলটির।
জানা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী ও সদস্য সচিব আব্দুল আলিম স্বাক্ষরিত পত্রে সাতক্ষীরা পৌরসভা, সদর উপজেলা, কালিগঞ্জ, আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু এর মাত্র একদিন পরই জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল হাসান, আব্দুর রউফ ও মৃনাল কান্তি রায় উল্লেখিত পাঁচটি ইউনিটের পাল্টা কমিটি অনুমোদন দিয়ে পত্র জারি করেছেন।
এদিকে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল হাসান, আব্দুর রউফ ও মৃনাল কান্তি রায় জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত কমিটির বিপরীতে পাল্টা কমিটি ঘোষনা দিয়ে পত্র প্রেরণ করেছেন। তাদেও তিন জন স্বাক্ষরিত একপত্রে সিরাজুল ইসলামকে আহবায়ক ও গোলাম ফারুক বাবুকে সদস্য সচিব করে দেবহাটা উপজেলা শাখা, শেখ মাসুম বিল্লাহ শাহীনকে আহবায়ক ও আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজুকে সদস্য সচিব করে পৌর শাখা, আসিফুর রহমান তুহিনে আহবায়ক ও জাকির হোসেন বাবুকে সদস্য সচিব করে আশাশুনি উপজেলা শাখা, অ্যাড. আব্দুস সাত্তারকে আহবায়ক ও জাহাঙ্গীর আলমকে সদস্য সচিব কালিগঞ্জ উপজেলা শাখা, আবুল হাসান হাদীকে আহবায়ক ও প্রভাষক আতাউর রহমানকে সদস্য সচিব করে সদর উপজেলা শাখার পাল্টা কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়।
আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়ক কর্তৃক পাল্টা পাল্টি কমিটি ঘোষনা করার মধ্যদিয়েই ফের দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এলো দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা এই দলটির। এঘটনায় ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।