সাতক্ষীরায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বে-সরকারি সংস্থা, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সমন্বয়ে বন্ধ হয়েছে ৯ম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীর বাল্য বিয়ের আয়োজন। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার কুশখালী ইউনিয়নের আড়ুয়াখালী গ্রামে। আড়ুয়াখালী পায়রাডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী মোছা. রিমা খাতুন হটলাইন নম্বরে ফোন দিয়ে জানান তার বাল্য বিয়ের আয়োজনের কথা।
রিমা জানান, তার বাবা আবু মুছা সম্প্রতি তার বিয়ের জন্য ছেলে দেখা শুরু করেন। কিন্তু রিমা এখনই বিয়ে করতে চায় না, লেখাপড়া করতে চায়, এমন ইচ্ছার কথা বাবা মাকে জানান। কিন্তু কোন লাভ হয়নি ইচ্ছার কথা জানিয়ে। তখন সে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে হটলাইনে ফোন দেয়।
খবর পেয়ে এগিয়ে আসেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম, বে-সরকারি সংস্থা ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সস’র মো. শরিফুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান টিটু, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রতিনিধি লুৎফুন্নাহার বিথী ও আজিবুর রহমান। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মুচলেকার মাধ্যমে বন্ধ করা হয় বাল্যবিয়ের সকল আয়োজন।
মোছা. রিমা খাতুন বলেন, ‘হটলাইন নম্বরে ফোন দিয়ে বাল্য বিয়ে আয়োজনের কথা আমি নিজেই জানাই। এক পর্যায়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী ও ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র মো. শরিফুল ইসলামের সাথে মোবাইলে কথা বলি। আমি এখনই বিয়ে না করে, লেখাপড়া শিখে আমার স্বপ্ন পূরণের পরেই বিয়ে করতে চাই। সকলের প্রচেষ্টায় বাল্য বিয়ে থেকে আমি মুক্ত হয়েছি। আমার বাবা ও মা এখন আমার মতের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। আমাকে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।’
খুলনা গেজেট/এনএম