সাতক্ষীরায় কিশোর ইজিবাইক চালক সালাউদ্দিনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত তার বন্ধু সোহাগ হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সোমবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ জিয়াররুল ইসলাম তার খাসকামরায় সোহাগের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
বন্ধুকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদানকারি আসামী সোহাগ হোসেন (১৪) সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক আহম্মদ আলী জানান, গত শনিবার বিকেল তিনটায় সাতক্ষীরা সদরের কাশেমপুর মালীপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ইজিবাইক চালক কিশোর সালাউদ্দিনের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় শহরের রসুলপুর সরকারি গোরস্থানের পাশ থেকে রসুলপুর গ্রামের সোহাগ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা শাহজাহান সরদার বাদি হয়ে শনিবার রাতেই সোহাগ হোসেনের নাম উলেখসহ অজ্ঞাতনামা চার জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সোমবার বেলা একটার দিকে ঘাতক সোহাগ হোসেনকে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মফিজুল ইসলামের নির্দেশে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ জিয়ারুল ইসলাম ১৬৪ ধারা মোতাবেক তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। মাদক কেনার জন্য দেওয়া ২০০ টাকা ফেরৎ না পাওয়ায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শনিবার ভোর রাত ৩টার দিকে সালাউদ্দিনকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে বলে কিশোর সোহাগ হোসেন জবানবন্দিতে উলেখ করেছে। এদিকে, আসামী সাগর কিশোর হওয়ায় তাকে যশোরের পুলেরহাট সরকারি শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা শহরতলীর কাশেমপুর মালিপাড়ার নিজ বসতঘরের মেঝেতে গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকা ইজিবাইক চালক কিশোর সালাউদ্দিনের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন সন্ধ্যায় হত্যাকারি সোহাগকে গ্রেপ্তার করলেও করোনা পরিস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাকে রোববার সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
খুলনা গেজেট/কেএম