সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের কয়ারবিল এলাকা থেকে লিয়াকত আলী সরদার নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় তার পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় একটি অস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের দাবি, লিয়াকত আলী একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। কয়ারবিল এলাকায় মাদকের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দু’দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে সংঘর্ষে লিয়াকত আলী সরদার মারা যেতে পারেন। বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে তিনটার দিকে সংঘর্ষের এঘটনা ঘটে।
নিহত মাদক ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী সরদার (৪৬) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের উত্তর তলুইগাছা গ্রামের মৃত মোসলেম আলী সরদারের ছেলে।
সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাউদ্দীন জানান, ভোর রাত সাড়ে তিনটার দিকে সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের কয়ারবিল এলাকা দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। কয়ারবিল এলাকায় পৌছে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে সেখানে পড়ে থাকতে দেখে। এসময় ঘটনাস্থলে মরদেহের পাশে একটি রিভলবার, দু’রাউন্ড গুলি, একটি হাসুয়া, ৫০ বোতল ফেন্সিডিল ও ২শ’ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পুলিশ গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, খোঁজখবর নিয়ে পরে মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের উত্তর তলুইগাছা গ্রামের মৃত মোসলেম আলী সরদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মাদক আইনে ১০ টি মামলা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মাদকের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে কয়ারবিলে দু’দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটতে পারে। তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।