সাতক্ষীরায় সদর উপজেলা ধুলিহর আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বিনা কারণে স্কুল থেকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে (২৪ আগষ্ট) ৪র্থ দিনের মত বুধবার স্কুলের ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। তারা বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এস.এম মাহবুবুর রহমানের বহিষ্কার ও প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামকে স্বপদে বহালের দাবি জানায়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ধুলিহর আর্দশ মাধ্যমিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকালে বিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে বেরিয়ে এসে স্থানীয় ব্রহ্মরাজপুর বাজার এলাকায় সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়ক অবরোধ করে। শিক্ষার্থীরা সড়কের উপরে বসে পড়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এস.এম মাহবুবুর রহমানের বহিষ্কার ও প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামকে স্বপদে বহালের দাবি তুলে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখায় রাস্তার দু’ধারে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এসময় তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের কাছে বই বিক্রি, স্কুল ফান্ডের টাকা উত্তোলনের এসব মিথ্যে অভিযোগ সাজিয়ে কোন তদন্ত ছাড়া বহিস্কারের প্রতিবাদ জানায়। বিদ্যালয়ের ক্লাস বর্জন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হিসাবে দূর্নীতিবাজ মাহবুবুর রহমান স্কুলে ঢোকার পর থেকে শিক্ষকদের মাঝে দন্ড শুরু করে দেয়। তিনি শিক্ষার্থীদের ভালো চান না বলেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ট পরিবেশ নষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে স্বপদে বহাল রেখে স্কুল কমিটির সভাপতির পদ থেকে মাহবুবুর রহমানকে বহিষ্কার করলে তারা আবার শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবে। তা না হলে অনিদিষ্ট কালের জন্য তারা ক্লাস বর্জন অব্যহত রাখবে।
একপর্যায় শিক্ষার্থীরা সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলামের গাড়ি সড়কে আটকে দেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এস.এম মাহবুবুর রহমানকে বহিষ্কার করে প্রধান শিক্ষককে আব্দুস সালামকে স্বপদে বহালের দাবি জানায়। পরে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু সানা ও জেলা পরিষদের প্রসাশক নজরুল ইসলাম বিষয়টির সুস্থ সমাধানের আশ্বস্ত করলে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।
খুলনা গেজেট/এইচআরডি