সাতক্ষীরায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ার অংশগ্রহণ সম্পর্কিত একটি বেইজ লাইন গবেষণা ও জনধারণা জরিপ উপস্থাপন করা হয়েছে। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা শহরের তুফান কনভেনশন সেন্টারে নাগরিক উদ্যোগসহ পাঁচটি সংগঠণের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সেমিনারে এ জরিপ উপস্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) এর সভাপতি বিভুতোষ রায় এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সাতক্ষীরার উপপরিচালক মাসরুবা ফেরদৌস। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা অসীম কুমার মন্ডল, ক্রিশ্চিয়ান এউড বাংলাদেশ এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহেনুর আলম চৌধুরী বর্ণা, প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ আহম্মেদ বাপ্পি, বিডিইআরএম এর সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি দীলিপ দাস, ইউপি সদস্য জয়ন্তী রানী দাস, চায়না দাস, রাহুল দেব বিশ্বাস প্রমুখ।
প্রধান অতিথি মাসরুবা ফেরদৌস বলেন, আজকের সেমিনারে যে জরিপ উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী সম্পর্কে অনেক তথ্য উঠে এসেছে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে হলে শুধু সরকারি উদ্যোগকেই কাজ লাগালে হবে না। দরকার আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের। পরিবারের পক্ষ থেকে সন্তানদের শিক্ষাঙ্গনমুখী করতে হবে কেননা পরিবার থেকেই বৈষম্য শুরু হয়। সকল নারীরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, সেক্ষেত্রে দলিত জনগোষ্ঠীর নারীদের কি অবস্থা তা আর বলার উপেক্ষা রাখে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত এলাকা হিসেবে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের উপকুলীয় অঞ্চলের নারীদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, সুন্দরবনে জীবিকার কারণে যাওয়ার পর বাঘের হাতে মৃত্যুবরণকারি পুরুষদের স্ত্রীরা অপায়া বলে এখনো কথা শুনতে হয়। আদিবাসীদের সুরক্ষায় তাদের জমি হস্তান্তরের নিয়ম সম্পর্কে সিআরপিসির ৯৭ ধারার ব্যাখ্যা দেন তিনি। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে এখন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে তিনি বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ক্রমশঃ উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
সেমিনার শুরুর আগে সকাল ৯টায় আন্তজার্তিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে দলিত, সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, হিজড়া ও ট্রান্স জেন্ডার জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধিদের অংশগ্রহণে শহরের সঙ্গীতা মোড় থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।