সাতক্ষীরায় নৌকা প্রতীক মনোনয়ন দিয়েও কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে গাজী শওকত হোসেনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয় আ’লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি স্বজল মুখার্জী অভিযোগ তুলেছিলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী শওকত হোসেন একজন রাজাকারপুত্র। মনোনয়ন বানিজ্যেও অভিযোগ তোলেন জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির বিরুদ্ধে। আন্দোলনের মুখে স্বজল মুখার্জী পেয়ে যান নৌকা প্রতীক।
নৌকা বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েন শওকত হোসেন। রোববার (২৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতিক নিয়ে জয়লাভ করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে যানা যায়, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গত ২২ অক্টোবর আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন ও নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই সময় নৌকা পান ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী শওকত হোসেন। এরপরই মনোনয়ন বানিজ্যের অভিযোগ তোলেন ইউনিয়নটির আ’লীগ সভাপতি স্বজল মুখার্জী। গাজী শওকত হোসেনকে রাজাকারপুত্র আখ্যায়িত করে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনও করেন তিনি। এই ঘটনার পর ২৮ অক্টোবর গাজী শওকত হোসেনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাহার করে স্বজল মুখার্জীকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেয় কেন্দ্রীয় আ’লীগ।
নির্বাচনে ১০ নং ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়েছেন ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি স্বজল মুখার্জী, চশমা প্রতীক নিয়ে মাঠে ছিলেন দলটির ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক নাজমুস শাহাদাত রাজা। এছাড়া বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল করিম আনারস প্রতীক, শেখ ফিরোজ আলম মোটর সাইকেল প্রতীক ও বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী শওকত হোসেন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন।
কালিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের রিটানিং কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, ভোট গণনা শেষে নৌকা প্রতীক ৪,২৭৬ ভোট, চশমা প্রতীক ২,৬৭৮ ভোট, ঘোড়া প্রতীক ৫,৩৮৩ ভোট, আনারস প্রতীক ৩৯৭ ভোট ও মোটর সাইকেল প্রতীক ৭৬৬ ভোট পায়। এরপর চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী গাজী শওকত হোসেনকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়। ১১০৭ ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী স্বজল মুখার্জীকে হারিয়ে দ্বিতীয় দফায় ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন কথিত রাজাকার পুত্র গাজী শওকত হোসেন।