নিখোঁজের দুই বছর পার হলেও সন্ধান মেলেনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের ১১ বছরের শিশু মেহেদী হাসানের। ২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় একই গ্রামের মোঃ তুহিন হোসেন তার ছেলে মোঃ রানার মাধ্যমে ডেকে নেয় মেহেদীকে। এরপর থেকে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি সে। নিখোঁজ মহেদী হাসান সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাহমুদপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাবুল হোসেন ও মমতাজ খাতুন দম্পত্তির ছেলে।
এঘনায় মেহেদির মা মমতাজ খাতুন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় ৬ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করেন যার নং ১৪ । মামলার আসামীরা হলেন, মাহমুদপুর গ্রামের আবু তালেবের ছেলে তুহিন (৩৮), মৃত শওকত হোসেনের ছেলে আবু তালেব (৫৮) ও আবু তালেবের স্ত্রী আলেয়া খাতুন (৫০)।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তুহিন হোসেন তার ছেলে রানার (১৪) মাধ্যমে মেহেদী হাসানকে ডেকে নেয়। এরপর থেকে মেহেদি হাসান আর বাড়িতে ফিরে আসেনি।
ছেলেকে খোঁজ করার সময় তার মা সাক্ষী ও স্থানীয় লোকজনদের নিকট জানতে পারেন বাড়ির পূর্ব পাশে আনিছুর মোল্লার বাগানের পাশে অপরিচিত ২জন লোক মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে এবং রানা তার ছেলেকে নিয়ে আনিছুর রহমানের বাগানের পাশ দিয়ে চলে যায়।
কিছুক্ষণ পর ওই মোটরসাইকেলে থাকা ব্যক্তিরা সেখান থেকে চলে যায়। এরপর বাদী ছেলেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেন। কিন্তু তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। মামলায় পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়। এছাড়া একই এলাকার জনৈক আলমের স্ত্রী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। পুলিশের তথ্যমতে, মামলার প্রধান আসামী তুহিনের বিরুদ্ধ অন্তত ৭টি মামলা রয়েছে।
এদিকে আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়ে মামলার বাদীকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। অপরদিকে নিখোঁজের দুই বছর তিন মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মেহেদি হাসানের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। সন্তানকে ফিরে পাবার আশায় বাবুল হোসেন ও মমতাজ খাতুন দম্পত্তি এখনো দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বাবুল হোসেন দম্পতি তাদের ছেলেকে ফিরে পেতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।