সাতক্ষীরায় নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসনে করণীয় বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা সোমবার বেলা ১১টায় স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সহায় ও মানুষের জন্য ফাউে যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে।
সহায় সংস্থার বাস্তবায়নাধীন নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিবোধ ও মোকাবেলা প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, রুহুল কুদ্দুস, মোহাম্মদ আলী সুজন, সাবেক যুগ্ম যুগ্ম সাধারণ আসাদুজ্জামান, সাবেক সাংগঠণিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাংবাদিক এম ইদুজ্জামান ইদ্রিস, আব্দুল জলিল, ইব্রাহিম খলিল, ফারুক রহমান, আনিসুর রহমান, বেসরকারি সংস্থা সহায়’র প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ আমজাদ হোসেন, প্রকল্প সহায়ক শোকর আলী প্রমূখ।
সভায় জানানো হয় যে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নে ৩৭৬ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৪২ জনের উপর। বাকি ৩৩৪ জনকে মানুষিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন এক নারী। এসময় সহায় সংস্থার পক্ষ থেকে বিরোধ নিরসনে ৩২০ পরিবারকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে।
একই সময়ে ওই ইউনিয়নে ৬৬ জন শিশু নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে। এদের মধ্যে ৪২জন শিশুকে সেবা দেওয়া হয়েছে। একটি বাল্য বিয়ে রোধ করা হয়েছে। তবে বাল্য বিয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরিবার কৌশলী হয়ে চুরি করে অধিকাংশ সময় বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে থাকে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, লকডাউনের কারণে নারীর প্রতি সহিংসতার মাত্রা বেড়েছে। তবে এসব রোধে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সভায় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধের বিষয়ে আলোচনা ও সার্বিক পেক্ষাপট তুলে ধরা হয়। লকডাউনে নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ার কারণ হিসেবে অধিক সময় একত্রে থাকাকে চিহ্নিত করেন সাংবাদিকরা।
খুলনা গেজেট/এনএম