সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ৬ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এসময় র্যাপিড এন্টিজেন কীট ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৩৫ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ৬ জন করোনা পজেটিভ ও বাকি ২৯ জন সাসপেক্টেড। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৮ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছেন ৮জন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরা সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ২৪ নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ৭ টি নমুনা পরীক্ষা করে কারও করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়নি। শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৯০৮ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৭৯৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছে ২ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ২৭ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ২১ জন। জেলায় প্রথম থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৭৭৪ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলায় ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৪৫২ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮৪ হাজার ৫০৭ জন। এদিকে সেনোফর্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮ লক্ষ ৯৮ হাজার ৪২৩ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭ লক্ষ ৮২ হাজার ৮১১ জন। ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লক্ষ ৮ হাজার ৪৮৫ জন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১৯ হাজার ১৫৩ জন। সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৯৩ হাজার ১৫১ জন। এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের বুষ্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ১০ হাজার ৯৭০ জন এবং ফাইজার ভ্যাকসিনের বুষ্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ৯১ জন।
তিনি জানান, সাতক্ষীরা জেলায় এপর্যন্ত প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ১৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৫১১ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ৮ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৭১ জনকে এবং তৃতীয় ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে ১১ হাজার ৬১ জনকে।
খুলনা গেজেট/ এস আই