সাতক্ষীরার আশাশুনির আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন ও দুই মেম্বরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলার স্বাক্ষী হারুন শিকারীকে মারপিট করে তার দু’পা ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বাক্ষী এফিডেভিট করে না দেয়ায় মঙ্গলবার ( ১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে সন্ত্রাসীরা রাজাপুর বৌ-বাজার এলাকায় হামলা চালায়।
আহত হারুন শিকারী (৪৫) সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মধ্যম একসরা গ্রামের মৃত জেহের আলী শিকারীর ছেলে। তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত হারুন শিকারী জানান, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরে ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য সাহাবুদ্দিন সানা বাদী হয়ে চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন ও সদস্য আলম হোসেন, জিয়ারুল ইসলাম এবং শওকত হোসেনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দুর্নীতি দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন, ঢাকা বরাবর প্রেরণ করেন। আমি ওই মামলার একজন স্বাক্ষী। বেশ কিছুদিন আগে থেকে মামলার আসামীরা স্বাক্ষী এফিডেভিট করে দেয়ায় জন্য আমার উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে মারপিটসহ খুন জখমের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। যার প্রেক্ষিতে আশাশুনি থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরীও করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মাছের খাবার ক্রয়ের জন্য মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে আমি পাশ্ববর্তী রাজাপুর বৌ-বাজারে যাই। এসময় ১০/১২ জন সন্ত্রাসী লোহার রড, হাতুড়ী সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় মারপিট করে আমার দু’পা ভেঙ্গে দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং হুমকি ধামকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
আনুলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন জানান, দুর্নীতি মামলা স্বাক্ষী হারুন শিকারীকে মারপিট করে তার পা ভেঙ্গে দিয়ে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। খবর পেয়ে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবির সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
খুলনা গেজেট / এমএম