সাতক্ষীরায় গত দুই মাসে করোনা আক্রান্ত হয় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৬ জুন থেকে ২৮ আগষ্ট পর্যন্ত সময়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, বাংলাদেশ বিষেশায়িত হাসপাতাল ঢাকা ও নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এসময় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০১০ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮০৬ জন।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেন দেবহাটা উপজেলার অনিল বিশ্বাস (৭০), তালা উপজেলার বরাহাটি গ্রামের বজলুর রহমান(৪৮), সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার কাজী আব্দুল মতিন (৮০) ও তার স্ত্রী সখিনা খাতুন (৭০), কালিগঞ্জের নলতা শরীফের খাদেম আলহাজ্ব আনসার উদ্দিন (৮৫), শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর গ্রামের আমজাদ হোসেন (৬৬), চাঁদপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান(৩৯), দেবহাটার নওয়াপাড়া গ্রামের কহিনুর বেগম (৬০), কুলিয়া গ্রামের আব্দুল মাহাবুদ (৬৮), দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল গণি (৬৭), জাহাপুর গ্রামের বদরুজ্জামান (৪৬), সাতক্ষীরা সদরের ঘোনা গ্রামের প্রসাদ কুমার (৫৮), কলারোয়া বাজার এলাকার হোসনেয়ারা (৬০), কালিগঞ্জের বরেয়া গ্রামের গফফার সরদার (৬৫), মৌতলা গ্রামের জাফরুল্লাহ (৫০), সদর উপজেলার বড়খামার গ্রামের আব্দুল মান্নান (৪৫), বাঁশদহা গ্রামের বিল্লাল হোসেন (৫৫), বাঁকাল শেখপাড়া এলাকার আব্দুস সাত্তার (৭৮), নেবাখালী গ্রামের আলফাজ উদ্দিন (৭০), শহরের পলাশপোল এলাকার নজরুল ইসলাম (৭৫), মুন্সিপাড়া এলকার ইব্রাহিম (৫০), পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার গোলাম ইছাহাক (৯০), আশাশুনির গোয়াডাঙ্গা গ্রামের দিবাকর (৯০), বাঁকড়া গ্রামের বৈদ্যনাথ (৬৫), তালার সুভাসিনি গ্রামের গৌর চন্দ্র (৬৫), বারুইআটি গ্রামের মর্জিনা খাতুন (৫৭), কুমিরা গ্রামের আনদার রানী রায় (৬৮) এবং যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষ্ণনগর গ্রামের মাহফুজা সিদ্দিকা (৬৩) ও মনিরামপুর এলাকার আনারুল কবির (৭৪)।
মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৬ জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় প্রথম মারা যান দেবহাটা উপজেলার অনিল বিশ্বাস এবং শেষ ২৮ আগষ্ট সামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান যশোর জেলার মনিরামপুর এলাকার আনারুল কবির।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত কুমার সরকার জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৯ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২৮ আগষ্ট পর্যন্ত এ জেলা থেকে মোট ৪ হাজার ৮৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য যবিপ্রবি ও খুমেক হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ৩ হাজার ৬২৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২ জনের রিপোর্ট পজেটিভ ও বাকী সব নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া ৮০৬ জন সুস্থ হয়েছেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এনএম