সাতক্ষীরায় পরকীয়ার জের ধরে এক দিনমজুরকে গলায় ডিশ লাইনের তার পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৭ মে) সকাল ৮টার দিকে সদর থানা পুলিশ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বকচরা গ্রামের জনৈক আফছার আলীর পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের নাম মোঃ আলমগীর হোসেন (২২)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বকচরা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের ছেলে।
নিহতের মা বকচরা গ্রামের সুফিয়া খাতুন জানান, তার ছেলে আলমগীর হোসেন একজন দিন মজুর। কয়েক বছর আগে সদর উপজেলার পদ্মশাঁখরা গ্রাম থেকে বকচরা গ্রামে এসে বাপের বাড়ির পাশে তিন কাঠা জমি কিনে সেখানে বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন তারা।
তিনি আরো জানান, বৃহষ্পতিবার রাত ৯টার দিকে পার্শ্ববর্তী আছিয়ার দোকানে চা খাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় আলমগীর। রাত বেশী হওয়ায় ও মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তিনিসহ স্বজনরা আলমগীরকে খুঁজতে বের হন। কিন্তু কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একই গ্রামের আফছার আলী তার পুকুরে যেয়ে একটি মৃতদেহ উপুড় অবস্থায় ভাসতে দেখে স্থানীয়দের জানান। খবর পেয়ে সেখানে যেয়ে পুকুর পাড়ে পড়ে থাকা জুতা দেখে লাশটি তার ছেলে আলমগীরের বলে সনাক্ত করেন। নিহতের গলায় ও মুখের মধ্যে ডিস লাইনের তার পেচানো ছিল। তাকে ওই তার দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
তবে নিহতের বড় ভাই পরিবহন শ্রমিক মহিবুল্লাহ মোবাইল ফোনে জানান, তার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বালিয়াডাঙা গ্রামের জনৈক আব্দুল জলিলের স্ত্রীর পরকীয়া সর্ম্পক ছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধও হয়েছে কয়েক বার। ধারণা করা হচ্ছে পরকীয়ার জেরে তার ভাইকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক মিনহাজউদ্দিন জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে আলমগীরের লাশ বকচরা গ্রামের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ডিস লাইনের তার গলায় পেচিয়ে মুখের সঙ্গে বেঁধে আলমগীরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার কারণ জানার চেষ্টা চলছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএম