সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. শাহ আলম ও চারজন আইনজীবী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক দু’টি মামলায় জামিন লাভ করেছেন। সোমবার (২৪ মে) তারা সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হয়ে আবেদন করলে বিচারক মোঃ হুমায়ুন কবীর তাদের প্রত্যেককে দু’ হাজার টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২৬ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন আশাশুনি থানার একটি ধর্ষণ মামলায় জামিন শুনানীকালে জামিনের বিরোধিতা করায় আসামীপক্ষের আইনজীবী সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলম রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর কথা বলেন। এর পরপরই জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে কয়েকজন আইনজীবী অ্যাড. এম শাহ আলমের ল’ চেম্বারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালায়। আহত হন অ্যাড. শাহ আলম। ২৮ এপ্রিল আব্দুল লতিফ বাদি হয়ে অ্যাড. শাহ আলমের বিরুদ্ধে সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এ মামলায় সোমবার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।
এ ছাড়া গত বছরের ৬ অক্টোবর শিক্ষানবীশ আইনজীবী লিয়াকত হোসেনের গলায় ‘আমি আইনজীবী নই, আমি টাউট’ এমন লেখা ঝুলিয়ে ছবি তুলে ফেইসবুকে ছেড়ে দিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত ও সম্মানহানি করার অভিযোগে গত ১২ মে সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন লিয়াকত হোসেন। মামলায় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলম, অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম (৫),অ্যাড, তারিক ইকবাল তপু, অ্যাড. শাহেদুজ্জামান শাহেদ, অ্যাড. ফুয়াদ হাবিব টিটোকে আসামী করা হয়। গত ১১ মে অ্যাড. এম শাহ আলম মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। ওই মামলার অপর চারজন আসামী সোমবার জামিন পেয়েছেন।
জামিন শুনানীতে আসামীপক্ষে অংশ নেন সাতক্ষীরার তালা- কলারোয়া-১ আসনের সাংসদ অ্যাড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আবুল হোসেন(২), অ্যাড. গোলাম মোস্তফা, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মোসলেমউদ্দিন, অ্যাড. ওসমান গণি, অ্যাড. সোমনাথ ব্যানার্জী, অ্যাড. তপন কুমার দাস, অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, অ্যাড. সরদার আমজাদ হোসেন, অ্যাড. তপন কুমার কুন্ডু, অ্যাড. কার্তিক দাস, অ্যাড. আজাহারুল ইসলামসহ শতাধিক আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক অমল কুমার রায়।
খুলনা গেজেট/কেএম