সাতক্ষীরায় পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির অভিযোগে আটক ডাকাত সরদার শরীফ হাসানুল বান্নাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্তকর্মকর্তা কর্তৃক আদালতে ৭দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শুনানী শেষে আদালত তার ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মঙ্গলবার বিকালেই তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদকালে আরো কিছু ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার ওসি অপরেশন তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজ জানান, আসামি বান্নাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শুনানী শেষে তার দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ বিচারক। এরপর তাৎক্ষণিক তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানান, শহরের কাটিয়া উত্তর পাড়ার টেকনিক্যাল স্কুলের বিপরীতে নিরিবিলি আবাসিক এলাকায় জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে একটি রুম ভাড়া নিয়ে তিনি থাকতেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে এক জোড়া হ্যান্ডক্যাপ, একটি খেলনা পিস্তলসহ পিস্তলের কাভার, পুলিশের ভূয়া একটি আইডি কার্ড, পুলিশের মাস্ক, কালো চশমা, প্যান্ট ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ডাকাতি করা একটি মাহেন্দ্র উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়াও এসআই মামুন পরিচয়ে শহরের কোর্ট সংলগ্ন বেস্ট ইলেক্ট্রনিকস থেকে ৫/৭ হাজার টাকা দিয়ে কিস্তিতে নেওয়া একটি ফ্রিজও জব্দ করা হয় ওই বাসা থেকে।
আলোচিত এই মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আরো জানান, এই মামলার আরও ৫ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা আছে। শুনানী শেষে রিমান্ড মঞ্জুর হলে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করার পর নতুন তথ্য ও ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার হবে বলে তার ধারণা। সংঘবদ্ধ এই চক্রটি দীর্ঘদিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ডাকাতি করে আসছিল। অবশেষে এই চক্রের ৬ সদস্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ সাতক্ষীরা পৌরসভার মধুমল্লারডাঙ্গী এলাকার গরু ব্যবসায়ী আনোয়ারুল ইসলাম ও তার ছেলে রিফাত হোসেন বাজার থেকে গরু বিক্রির ২লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের ওয়ারিয়া পূজা মন্ডপের সামনে পৌছালে তাদেরকে গতিরোধ করে পুলিশ পরিচয়ে একদল ডাকাত। মাদকদ্রব্য থাকার মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাদেরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে টাকা কেড়ে নেয় ডাকাতরা। ঝাউডাঙ্গা বাজার পার হয়ে বাবা শেখ আনোয়ারুল ইসলাম ও তার ছেলে রিফাত হোসেনকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টাকালে তাদের চিৎকারে স্থানীয়দের সহায়তায় ৫ ডাকাতকে আটক করে পুলিশ। এঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অনুসন্ধান কালে গ্রেপ্তারকৃতরা আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করে আসছিল বলে জানতে পারে। তাদেরকে সোমবার জেল হাজতে পাঠানো হয়।