সাতক্ষীরায় পরানদহ গ্রামে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীকে নিয়ে সদর উপজেলার এক ট্রলি চালকের বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় বেষ্ট টিমের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী শাহানাজ পারভিনসহ দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগিরা। সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে সোমবার পরানদহ মনির মোড়ে এই মানববন্ধন কর্মসুচির আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে শিবপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান মানি, সাংগঠণিক সম্পাদক সাঈদুর রহমান, পরানদহ বাজার কমিটির সভাপতি ইয়াছিন আলী পলাশ, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, বেষ্ট টিমের শিবপুর ইউনয়ন লিডার রায়হান হোসেন, হাজিরা খাতুন ময়না, ক্ষতিগ্রস্ত আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আড়াই মাস আগে ছেলে সাব্বিরকে নিয়ে বাপের বাড়ি দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া গাজীপাড়ায় চলে যায় পরানদহ গ্রামের আলমগীরের স্ত্রী মাছুরা। গত পহেলা আষাঢ় সাব্বির সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যায়। আলমগীর ছেলে সাব্বিরের লাশ পরানদহে নিয়ে আসতে চাইলে মাছুরা ও তার বাপের বাড়ির লোকজন আনতে বাধা দিয়ে কুলিয়া গ্রামে তড়িঘড়ি করে দাফন করে। এত স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হলে আলমগীর গত ২৫ আগষ্ট স্ত্রীর নামে তালাকনামা পাঠায়। খবর পেয়ে মাছুরা স্বামীর বাড়িতে এলে তাকে ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
একপর্যায়ে ২৮ আগষ্ট সকালে এ নিয়ে মনির মোড়ে অনুষ্ঠিত এক শালিসি বৈঠকে মীমাংসা হয়নি। ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে মাছুরা, তার ভাগ্নে আবুল হোসেন, কুলিয়া ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেনসহ কয়েকজনকে নিয়ে বেষ্ট টিমের কর্মকর্তা পরিচয়ে কুলিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী শাহানাজ পারভিন মিলি পরানদহ গ্রামে এসে আলমগীরের ঘরের তালা ভেঙ্গে ফেলে। ঘরের মধ্যে ঢুকে তারা শো কেসের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ১৫ হাজার ১০০ টাকা, সোনার গহনা, আড়াই বিঘা জমির বন্দকী দলিল, মাছুরার দলিল, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও ব্যবহৃত জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে চলে যায়। ওইদন সন্ধ্যায় অভিযোগ দিতে গেলে মিলি ও মোস্তাফিজুর থানার মধ্যে আলমগীরকে হুমকি ধামকি দেয়। উল্টে মাছুরাকে দিয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করানো হয়। পরে ২৯ আগষ্ট আলমগীর থানায় একটি অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
বক্তারা বলেন, বেষ্ট টিম কি, তাদের কাজ কি? তারা মানবাধিকার কর্মী, জেলা পরিষদের কর্মকর্তা, আইনজীবী পরিচয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। প্রশাসন সব কিছু জেনেও কেন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা জানতে চান। একই সাতে বেষ্ট টিমের কর্মকর্তা পরিচয়দানকারি ইয়াবা সেবনকারি মোস্তাফিজুর ও তার স্ত্রী শাহানাজ পারভিন মিলিসহ আলমের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ