সাতক্ষীরা পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসুচি পালন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশের কর্মসুচি নিয়েছে জেলা নাগরিক কমিটি। সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির পুরতন ভবনে শুক্রবার বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক মো. আনিসুর রহিম এর সভাপতিত্বে সভায় কর্মসূচি সফল করার আহবান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সুধাংশু শেখর সরকার, এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, অপারেশ পাল, মাধব চন্দ্র দত্ত, আবুল হোসেন, নিত্যানন্দ সরকার, ওবায়দুস সুলতান বাবলু, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, ডা. শফিকুল ইসলাম, প্রভাষক ইদ্রিশ আলী, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, রবিউল ইসলাম মিজানুর রহমান, হাফিজুর রহমান, আনোয়ার জাহিদ তপন, আলী নুর খান বাবলু ও এড. আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ও আলোচনায় বলা হয়, গত মে-জুন মাস থেকে সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে এবং ক্রমেই তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। জেলা নাগরিক কমিটি এব্যাপারে বিভিন্ন মাধ্যমে পৌরকতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে। সর্বশেষ গত ১ সেপ্টেম্বর জেলা নাগরিক কমিটি সাতক্ষীরা পৌরসভার সামনে অবস্থান ও পৌর মেয়র বরাবর স্মারকলিপি পেশ করে। এই ধারাবাহিক যৌক্তিক আন্দোলনের এক পর্যায়ে সম্প্রতি সাতক্ষীরা শহরের নাগরিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ আরো কয়েকটি সংগঠন অনুরূপ কর্মসূচি পালন করে এবং বিভিন্ন দপ্তরে মতবিনিময়ও করে।
জেলা নাগরিক কমিটি কর্তৃক পৌর মেয়র বরাবর প্রদান করা ১ সেপ্টেম্বরের স্মারকলিপিতে “জরুরিভাবে সাতক্ষীরা পৌরসভার জলাবদ্ধ এলাকার পানি নিষ্কাশনে যেখানে যে ধরণের বাধা রয়েছে তা অপসারণ ও পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে যেসমস্থ মাছের ঘের গড়ে উঠেছে সেগুলো উচ্ছেদ, তাৎক্ষণিক পানি নিষ্কাশনের কোন পথ পাওয়া না গেলে সেখানে মেশিন দিয়ে পানি সেচের ব্যবস্থা” করার দাবী জানানো হয়। এ কর্মসূচির পরপরই ব্রক্ষরাজপুরের সাকলার গেট এলাকায় স্যালো মেশিনের সাহায্যে পানি সেচের উদ্যোগ নেন পৌর কর্তৃপক্ষ এবং ৬ সেপ্টেম্বর থেকে সেই সেচ ব্যবস্থা চালু করা হয়। এটি আরো ৩/৪ মাস আগে করলে পৌরসভার বদ্দিপুরসহ পাশ্ববর্তী এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কম হতো।
অনুরূপভাবে গত ২৬ জুন শহরের ইটাগাছা পশ্চিমপাড়ার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কয়েকটি ঘেরের বাঁধ কেটে দিলে কয়েক ঘন্টার মধ্যে এলাকা থেকে এক দেড় ফুট পানি কমে যায়। কিন্তু ওই রাতেই সংশ্লিষ্ট ঘের মালিক উক্ত বাঁধ আবার বেধে ফেললে মানুষের দুর্ভোগ আবারো বেড়ে যায়। কিন্তু পৌরসভার পক্ষ থেকে ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনে আর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এসব ঘটনাগুলো পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌর কর্তৃপক্ষের সময়মত যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ারই প্রমান বহন করে।
সভায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি সফল করার আহবান জানান বক্তারা।
খুলনা গেজেট / এমএম