সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাওয়ালখালীতে দিনদুপুরে চুরি হওয়ার ৩৬ ঘন্টা পর নবজাতক শিশু সোহানের মৃতদেহ বাড়ির বাথরুমের সেফটিক ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশু’র বাবা সোহাগ হোসেন ও মা ফতেমা খাতুনের দেয়া তথ্য মতে শনিবার ভোর রাত ১টার দিকে পুলিশ ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ নবজাতক শিশু’র বাবা সোহাগ হোসেন ও মা ফতেমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে। অসুস্থ্যতা জনিত কারণে শিশুটির মাকে পুলিশ প্রহরায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ হোসেন (৩০) এর বাড়ি সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার সাহাপুর গ্রামে। স্ত্রীকে নিয়ে সদর উপজেলার হাওয়ালখালী গ্রামে নানী শাশুড়ির বাড়িতে থাকতো।
পুলিশ সূত্র জানায়, দিনদুপুরে ঘুমান্ত মায়ের পাশ থেকে ১৫দিন বয়সের নবজাতক চুরি হওয়ার পর শুক্রবার সকালে সদর থানার পুলিশ ও পিবিআই পৃথকভাবে উদ্ধারে কাজ শুরু করে। দুপুরে শিশুটির পিতা সোহাগ হোসেন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। কিন্তু সন্দেহের তীর বার বার তার বাবা’র দিকে যেতে থাকে। একপর্যায় বিকালে পুলিশ শিশু’র বাবা সোহাগ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার রাতে সে ও তার স্ত্রী দু’জনে মিলে শিশুটিকে বাড়ির বাথরুমের সেফটিক ট্যাংকির মধ্যে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক শনিবার রাত ১টার দিকে সোহাগ হোসেনের বাড়ির বাথরুমের সেফটিক ট্যাংকি থেকে নবজাতক শিশু সোহানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। একই সাথে গ্রেপ্তার করা হয় শিশুর মা ফাতেমা খাতুনকে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে সোহাগ হোসেন ও ফতেমা দম্পত্তি ১৫দিন বয়সের নবজাতক সোহান ঘুমন্ত অবস্থায় মায়ের পাশ থেকে চুরি হয়ে যায়। ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে কয়েক দফায় এলাকায় যাই। শিশিুটি উদ্ধারে সদর থানার পুলিশ ও পিবিআই পৃথকভাবে কাজ শুরু করে। একপর্যায় শুক্রবার বিকালে শিশুর বাবা সোহাগকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর সে নিজের শিশু সন্তানকে স্বামী স্ত্রী মিলে হত্যার কথা স্বীকার করে। জন্মের পর থেকেই শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পাড়ায় তারা তাকে হত্যা করে বলে জানায় সোহাগ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভোর রাত ১টার দিকে বাড়ির বাথরুমের সেফটিক ট্যাংকি থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
খুলনা গেজেট/কেএম