সাতক্ষীরায় চিংড়ি ঘের নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা ঘের মালিকসহ দুই ব্যক্তিকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।শনিবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১টার দিকে সদর উপজেলার দামারপোতা গ্রামের ওয়াবদার পূর্বপাশে মৎস্য ঘেরে এঘটনা ঘটে।
গুরুত আহত ঘের মালিক রিপন ও তার সঙ্গী আজিবর রহমানকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় ঘের মালিক ওমরাপাড়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মোড়লের ছেলে রিপন মোড়ল বাদি হয়ে সদর থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন।
বাদির এজাহার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার দামারপোতা গ্রামের ওয়াবদার পূর্বপাশে বাদির একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। জমির মালিকদের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে তিনি সেখানে মৎস্য চাষ করেন। ১৭ এপ্রিল বেলা ১টার দিকে সদর উপজেলার মাছখোলা সরদারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের তিন ছেলে আব্দুস সবুর (৫২), আব্দুস সালাম (৪৭) ও মোঃ লিটন (৩৫), আব্দুস সবুরের ছেলে মোঃ রাজু (২৫), শহরের মুনজিতপুর এলাকার মৃত আব্দুল মাজেদ মাষ্টারের দুই ছেলে রউফুজ্জামান ওরফে লাদেন (৩৪) ও মোঃ রাশেদুজ্জামান (৪০)সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬জন ধারালো দা, লোহার রড, হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার মাছের ঘেরে অনাধিকার প্রবেশ করে আমাকে মারপিট করতে থাকে। আমার সঙ্গী দহকুলা গ্রামের সুরাত আলীর ছেলে আজিবর রহমান (৪৫) ও আব্দুস সোবহানের ছেলে মোঃ সেলিম (৩২) আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারপিট করে।
এসময় রউফুজ্জামান ওরফে লাদেন তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে আজিবর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে গুরুর জখম করে। আব্দুস সবুর তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে বাদি রিপন মোড়লের মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এসময় রাজু সহ অন্যান্যরা লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বাদি ও সেলিমকে রক্ত জমাটবাধা ফোলা জখম করে। আক্রমনকারীরা এনিয়ে মামলা না করার জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা বাদি রিপনসহ অন্যদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। গুরুতর আহত ঘের মালিক রিপন ও সঙ্গী আজিবর রহমান সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সেলিমকে হাসপতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি (তদন্ত) বোরহানউদ্দিন দুই পক্ষের কাছ থেকে পৃথক অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি