সাতক্ষীরায় ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত কয়েকদিন যাবত শীত আর কুয়াশার সাথে সাথে বইছে মৃদু বাতাস। ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। তবে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে কমতে থাকে কুয়াশা। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিনভর একবারও সূর্যের দেখা মেলেনি।
এদিকে তীব্র শীতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ গুলো। প্রচন্ড শীতে আয়-রোজগার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের এসব মানুষ গুলো। গরম কাপড় ছাড়া সাধারণত কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পরছেন না। শহরে যানবাহন চলাচল অন্যদিনের চেয়ে কম দেখা গেছে। যাতায়াত কমে যওয়ায় পরিবহণ শ্রমিকের আয় কমে গেছে। গ্রামাঞ্চলে তীব্র শীতে কষ্ট পাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় অনেকেই খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। আবার কেউ কেউ স্বল্পমূল্যে শীতবস্ত্র কিনতে পুরানো পোশাকের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।
অপরদিকে তীব্র শীতে বৃদ্ধি পেয়েছে শীত জনিত রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে শিশু-বৃদ্ধরা পড়েছে ভোগান্তিতে। ফলে ভীড় বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। সোমবার সকালে সাতক্ষীরা সদও হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে বিপুল সংখ্যাক রোগী চিকিৎসা নিতে এসেছেন হাসপাতালে। হাসপাতালের শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, সোমবার সকাল ৬ টায় সাতক্ষীরায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতার পরিমান ছিল ৯৫ শতাংশ। আগামী আরো দুই-তিন দিন শীতের অনুভূতি বেশি থাকতে পারে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. শেখ সুফিয়ান রুস্তম জানান, প্রতিদিনই শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে। বিশেষ করে কোল্ড ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ঠ ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল গুলোতে ভর্তি হচ্ছে তারা। তিনি আরো জানান, এই শীতে শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ঠান্ডা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
খুলনা গেজেট/এমএম