সাতক্ষীরায় মামলা তুলে না নেয়ায় গণধর্ষণের শিকার নারীর ভাইকে অপহরণের পর নির্যাতন চালিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় বস্তাবন্দি করে রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে সন্ত্রাসীরা। বুধবার ভোর রাত দেড়টার দিকে শ্যামনগরের সোয়ালিয়া ব্রীজ এলাকা থেকে ওই যুবককে হাত পা বাঁধা বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল ও পরে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সকালে তকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবকের (২৪) বোন জানান, সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তার নিজের দায়েরকৃত মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামী ও তাদের স্বজনরা তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। প্রধান আসামী আবু বক্কর ছিদ্দিকের মেয়েকে দিয়ে ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভাইয়ের বিরুদ্ধে করা মিথ্যে ধর্ষণের মামলা গত বছরের ২১ জুলাই খারিজ হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিল তার মামলার আসামীরা। এরই জের ধরে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ নিতে শ্যামনগর উপশহরে যাওয়ার সময় তাকে অপহরণ করা হয়। মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে রাত দেড়টার দিকে সোয়ালিয়া ব্রীজের পাশ থেকে দু’ হাত ও দু’ পা বাঁধা বস্তায় ভরা মুমূর্ষ অবন্থায় ভাইকে উদ্ধার করে প্রথমে বে-সরকারি হাসপাতাল ফ্রেন্ডশিপ ও পরে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার দায়েরকৃত মামলায় নিশ্চিত শাস্তি জানতে পেরে পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে অপহরণের পর হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের পর বস্তাবন্দি করে হত্যার জন্য ফেলে রেখে গেছে বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ জুবায়ের জানান, ওই যুবকের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাছাড়া শরীরে বিষাক্ত কোন তরল পুশ করা হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তবে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা জানান, তিনি বিষয়টি জেনেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন