সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমণের হার ৫০ শতাংশের নিচে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৪৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। রোববার (১৩ জুন) সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৯২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৪৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। এর আগের দিন শনিবার সংক্রমণের হার ছিল ৬৪ দশমিক ২০ শতাংশ।
এদিকে সাতক্ষীরায় ২য় মেয়াদের লকডাউনের দ্বিতীয় দিন পার হয়েছে কিছুটা ঢিলাঢালা ভাবে। সকাল থেকে পুলিশ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যারিকেড বসিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা চেষ্টা করেছে। তবে অন্যদিনের তুলনায় রোববার কিছুটা গা ছাড়া ভাব লক্ষ্য করা গেছে। দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও তার মধ্যে শহরে মানুষের চলাচল ছিল চোখে পড়ার মত। শহরের বেশ কিছু এলাকায় দোকানের হাফ শার্টার খুলে ব্যবসায়িদের বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। জেলায় করোনার উর্দ্ধগতি সাধারণ মানুষের মনে কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি। এদিকে করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় সাতক্ষীরা পৌর সভার ৪ নং ওয়ার্ড সুলতানপুর এলাকা লকডাউন করে দিয়েছেন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ কুদরত-ই-খোদা জানান, মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫০ করা হয়েছে। রোববার দুপুর পর্যন্ত সেখানে ১৩৬ জন রোগী ভর্তি ছিল। এছাড়া নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) ৮টি বেডের মধ্যে ৫টি করোনা পজেটিভ ও বাকি ৩টিতে সাসপেকটিভ রোগি ভর্তি রয়েছে।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে করোনা রোগীর চাপ বাড়ায় সামেক হাসপাতালের ৮৭ টি বেড থেকে ১৩৫ বেডে উন্নীত করা হয়। এতেও সংকুলান না হওয়ায় শনিবার আরো ১৫টি বেড বাড়িয়ে ১৫০ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন হুসাইন সাফায়ত জানিয়েছেন, নতুন করে আরো ৪৪ জনসহ এ পর্যন্ত জেলায় ২ হাজার ৪২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে আরো প্রায় ২৫১ জন। বর্তমান আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭২৭ জন।
প্রসঙ্গতঃ করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মাত্র সাড়ে ৮ঘন্টার ব্যবধানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সমাকে) ও সদর হাসপাতালে চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই